দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি-
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে স্কুল ছাড়তে হয়েছে এক নারী সহকারী শিক্ষকের। তাকে অপসারণের দাবীতে স্কুল ঘেরাও করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। অবশেষে শিক্ষা অফিসারের উপস্থিতিতে বদলির আশ্বাসে পরিস্থতি স্বাভাবিক হয়।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এমনটি ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ঝানজাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওই নারী সহকারী শিক্ষকের নাম রাশেদা মমতাজ সেবা। ওই স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে,স্কুল চত্বরে সহকারী শিক্ষক রাশেদা মমতাজ সেবার নানান অপকর্মের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা এবং বিদ্যালয় থেকে চলে যেতে বলেন।
আন্দোলনের খবরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষক রাশেদা মমতাজ সেবাকে এ বিদ্যালয় থেকে অন্যত্র বদলীর আশ্বাস দিয়ে উত্তেজিত পরিবেশ স্বাভাবিক করেন।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বরাতে জানা গেছে,২০১২ সালে ঝানজাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন রাশেদা মমতাজ সেবা। তবে স্কুলে অনিয়মিত,সহকর্মীদের সঙ্গে অসদাচারন,অসামাজিক পোশাকে স্কুলে আসাসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
বিভিন্ন সময় প্রধান শিক্ষক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবিহিত করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে,ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নানান অভিযোগের সত্যতা পেলেও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে এগুলো ম্যানেজ করতেন রাশেদা মমতাজ সেবা ।
সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুল কাদের এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন সহকারী শিক্ষক রাশেদা মমতাজ সেবা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ এলাকাবাসী,অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে জড়ো হন এবং বিতর্কিত শিক্ষক রাশেদা মমতাজ সেবাকে স্কুল থেকে অপসারণ করার দাবী জানায় তারা। সেসময় উপস্থিত অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষক সেবা খারাপ আচরন করলে ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
ঝানজাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুল কাদের বলেন,আমাকে জড়িয়ে আমার সহকর্মী রাশেদা মমতাজ সেবা মানহানিকর মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এমন মিথ্যা অভিযোগ মাথায় নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা সম্ভব না। এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমি তা মেনে নিব।
দুর্গাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুর রহমান জানান,বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে সহকারী শিক্ষক রাশেদা মমতাজকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।