মোঃ মহিবুল ইসলাম,পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:
গত একসপ্তাহ ধরে বৈরি আবহাওয়ার কারণে সমুদ্রে যেতে পারেননি জেলেরা। উপকূলে দেখা দিয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এতেই উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটায় দুইদিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।
বরফের অভাবে ইলিশ ব্যবসায় বিপর্যয় দেখা দিয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বিএফডিসি এলাকার জেলেদের। বর্তমানে আবহাওয়া মাছ শিকারের উপযোগী। বঙ্গোপসাগরে ধরাও পড়ছে প্রচুর ইলিশ।
সরেজমিনে জানা গেছে, দুইদিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বরফ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বরফ সংকটে সমুদ্রে যেতে পারছে না জেলেরা। ঘাটে বসে অলস সময় পার করছে শতাধিক ট্রলার। তারপরও চড়া দামে বরফ সংগ্রহ করে কিছু ট্রলার সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করে ঘাটে ফিরলেও আহরিত ইলিশ সংরক্ষণ করতে পারছে না ক্রেতারাও মাছ কিনতে অনীহা প্রকাশ করছে।
ক্রয়কৃত মাছ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে না পারায় চরম স্থবিরতা দেখা দিয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। কেবলমাত্র ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বরফ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার সকালে পাথরঘাটার, বিএফডিসি ঘটে নোঙর করা সমুদ্রগামী মাছধরার ট্রলারের জেলে এবং বরফকল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
জেলে এমাদুল মাঝি জানায়, একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা পাথরঘাটা। এখানকার শতকরা ৭০ ভাগই জেলে এবং ছোটবেলা থেকেই এই মাছ ধরা শিখেছি, নদীতে মাছ পেলে সংসার চলে আর মাছ না পেলে না খেয়ে থাকতে হয়। এখন ইলিশের ভরা মৌসুম। একেতো বৈরী আবহাওয়া, তার মধ্যে একটু বৃষ্টি এলেই আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপরই দেখা দেয় বরফ সংকট। আমাদের মত গরিবের কষ্ট কেউ বুঝেনা।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম আব্দুস সালাম জানায়, সর্ব দক্ষিণের উপজেলা পাথরঘাটা। এই লাইনটি অনেক দূর থেকে এসেছে যার কারণে প্রায়ই সমস্যা দেখা দেয়। সেইম এখনও আমাদের এখানে নয় মঠবাড়িয়া ৩৩ কেভি লাইন ফল্ট হয়েছে। এখন পর্যন্ত লাইন চালু হয়নি। মঠবাড়িয়া লাইন চালু হলে পাথরঘাটা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তবে চালু হবার সময় এখনও জানা যায়নি।