নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিষ্টার কায়সার কামাল বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গণতন্ত্র হত্যা করে এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। দেশের সংবিধানকে টেনে ছুড়ে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে পরিনত করেছিল। যার পরিনতিতে এক কাপড়ে বাংলাদেশ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হয়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, দেশে এখন সত্যিকার গণতন্ত্র আসবে। অন্যায় করে কেউ কখনো টিকে থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগকে দেখে সবার শিক্ষা নিতে হবে। স্বৈরাচারমুক্ত করতে ছাত্র–জনতাকে রক্ত দিয়ে মূল্য দিতে হয়েছে। এই স্বাধীনতাকে কখনো জলাঞ্জলি দেওয়া যাবে না।’
কায়সার কামাল আরও বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংস্কারের যৌক্তিক সময় দেব। তবে আশা করব, দ্রুত একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটে যে সরকার নির্বাচিত হবে। তাদের হাতে তাঁরা ক্ষমতা তুলে দেবেন। আমার নিজ জেলা নেত্রকোণার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর অসাম্প্রদায়িক জেলা। এখানে পাহাড়-হাওর সমতল সব আছে। হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই আদিকাল থেকে মিলেমিশে বসবাস করছি। এই ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার পতন হয়েছে। দেশ লুটকারীদের কাছে এখন অনেক টাকা। তাদের প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। যে কোনো সময় বিএনপির সাথে মিশে অপকর্ম চালাতে পারে। কোনো অপশক্তি যেন কাজ করতে না পারে। তাই সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
সোমবার (১৬ সেপেম্বর) দুপুরে নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদের হলরুমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এম এ খায়েরের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়কক আনিছুর রহমান পাঠান বাবুলের সঞ্চালনায় ব্যারিষ্টার কায়সার কামাল ছাড়াও শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ বক্তব্য দেন।
আলোচনা সভা শেষে কলমাকান্দা উপজেলার সন্তান ঢাকায় নিহত শহীদ মো. আহাদুন, মো. সোহাগ মিয়া, মেহেদি হাসান ও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিবারকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেন কায়সার কামাল।