জবি প্রতিনিধি :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রতিষ্ঠার ১৯ বছরে পদার্পণ করলোও বিশ্ববিদ্যালয় হতে হয়নি উপাচার্য নিয়োগ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে ড. সাদেকা হালিম পদত্যাগ করেন।
পদত্যাগ পরবর্তী সময়ে হতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। জবি থেকে উপাচার্য নিয়োগ না দিলে গেটলক কর্মসূচিও (প্রবেশ করতে দেয়া হবে না) ঘোষণা করেছেন তারা।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য পদে নিয়োগের জন্য বিভিন্ন বিভাগের একাধিক অধ্যাপক শুরু থেকেই আলোচনায় আছেন। তবে শিক্ষার্থীদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড.পেয়ার আহমেদ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যাম, শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় সভায় বারংবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. পেয়ার আহমেদ চর্চা হচ্ছে। শিক্ষর্থীদের প্রত্যাশা,বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত সম্পন্নসহ সার্বিক উন্নয়ন ড. পেয়ার আহমেদের মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব বলে অধিকাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন।
অধ্যাপক ড. পেয়ার আহমেদ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, সিন্ডিকেট সদস্য, একাডেমিক কাউন্সিল সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের রুলস এন্ড রেগুলেশন প্রণয়ন সদস্যসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা ক্যাম্পাস), আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইয়ামাগাটা বিশ্ববিদ্যালয় (জাপান) সহ দেশ ও দেশের বাইরে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন।
ক্যাম্পাসে তিনি একজন সুবক্তা, স্পষ্টবাদী, সৎ ও ন্যায়পরায়ণ শিক্ষক হিসেবে পরিচিত। দেশী -বিদেশী জার্নালে তার ৪০টির বেশি গবেষণা পত্র রয়েছে এবং বিভিন্ন পর্যায়ে তার লেখা কয়েকটি পাঠ্য-পুস্তক প্রকাশিত হয়েছে।
উপাচার্য নিয়োগ বিষয়ে গনিত বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন,আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হতে একজন সৎ, ন্যায়পরায়ণ শিক্ষার্থীবান্ধব উপাচার্য চায়। ড. পেয়ার আহমেদ স্যার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি সর্বদা শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন সম্পর্কে সচেতন।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, উপাচার্য নিয়োগে অবশ্যই জবির শিক্ষক হতে হবে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে যারা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়েছেন, তাদের মধ্য থেকেই আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে দেখতে চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হতে হলে ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়। দুটি চেয়ারের একজন যদি একাডেমিশিয়ান হয়, অন্যজনের পলিটিক্যাল জ্ঞান থাকতে হবে। এতে একদিকে গবেষণা, শিক্ষা ও শিক্ষকের মান ঠিক থাকবে, অন্যদিকে রাজনৈতিকভাবে সবাইকে একত্রিত রাখা ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আনা সহজ হবে।