তরিকুল্লাহ আশরাফী, হালুয়াঘাট প্রতিনিধি :
হালুয়াঘাটে গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। খরাতাপে পুড়ছে পুরো উপজেলার সাধারণ মানুষ। একদিকে রোদে তীব্র গরম অন্যদিকে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত পরিমানে বিদ্যুৎ বিল আদায়,মিটার ভাড়া,ডিমান্ট চার্জের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়,ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের সমস্যা,সব মিলে যেন মরার উপর খড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে হালুয়াঘাট পল্লী বিদ্যুৎ ।
উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের ঘন ঘন লোডশেডিং দেওয়াসহ নানাবিধ সমস্যার কারণে সাধারণ গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে ঝর । জানা যায়, হালুয়াঘাট পৌর অঞ্চলে পিডিপিতে আধা ঘন্টা এক ঘণ্টা পর পর নিয়ম করে লোডশেডিং করা হলেও ইউনিয়ন পর্যায়ে পল্লী বিদ্যুৎ এক ঘন্টা পর পর দুই ঘন্টা থেকে তিন ঘন্টা করে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।
এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছে সাধারণ মানুষ। আবাসিক এলাকার বাসিন্দাসহ বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ী ও বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল গৃহস্থালি কাজে ব্যাঘাত ঘটায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসা বাড়ি ও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিসে নষ্ট হচ্ছে কর্ম ঘণ্টা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
হালুয়ঘাট সদর ইউনিয়নের কালিয়ানিকান্দা গ্রামের প্রবাসী শফিকুল ইসলাম জানান, আমার একটি গরুর ফার্ম রয়েছে সেখানে বিদেশী জাতের গরু পালন করি। সবসময় ফার্মে বৈদ্যুতিক ফ্যান ব্যবহার করতে হয় ১০ মিনিট বিদ্যুৎ না থাকলে গরুগুলো গরমে অসুস্থ হয়ে যায়।
এখন বিদ্যুতের যে অবস্থা ঘন ঘন লোডশেডিং প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪ থেকে ৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়, কিন্তু প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল আসে দ্বিগুণ। অফিসে একাধিকবার জানানো হলেও কোন সুরাহা পাচ্ছিনা। আমার মত বহু গ্রাহক আছেন তারা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করছেন। এ অবস্থায় দ্রুত বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা এবং ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন গ্রাহকরা।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের এজিএম ইমরান হোসাইন বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অর্ধেকের নিচে নেমে আসায় বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে । আর যে সকল গ্রাহকদের অতরিক্ত বিলের অভিযোগ পাচ্ছি সাথে সাথে আমরা তা সংশোধন করে দিচ্ছি।