স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ
যশোরে জমি ক্রয়-বিক্রয়ে রেজিস্ট্রি অফিস ও ভূমি অফিসের দূর্নীতি বন্ধ এবং দূর্নীতির বিচারের দাবিতে যশোরের রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ ই সেপ্টেম্বর) দুপুরে যশোর জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে একঘন্টা ব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করে বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ যশোর জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
জেলা সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড তসলিম উর রহমানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড জিল্লুর রহমান ভিটু, কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা নেতা কমরেড নাজিমউদ্দীন, জেলা নেতা কমরেড বিপুল বিশ্বাস, জেলা নেতা পলাশ বিশ্বাস, সদর উপজেলার নেতা সাহবুদ্দিন বাটুল, আসাদুজ্জামান পিল্টু, মনিরামপুরের নেতা রাজু আহমেদ প্রমুখ।
বিক্ষোভে বক্তারা বলেন, জমি ক্রয়-বিক্রয়ে সরকারি ফির থেকে ৪-৫% টাকা বেশি না দিলে রেজিস্টি হয় না। উৎকোচ দিলে নদী, খালবিল, সরকারি জমি এমন কি রেজিস্ট্রি অফিস রেজিস্ট্রি করতে ওদের বাঁধে না। এই উৎকোচ ও চাঁদার টাকার খাম আওয়ামী লীগের নেতা, এমপি, পাতিনেতা, আস্তান মস্তানদের নামে যেত। সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে, কাকে কত দেওয়া হতো তা প্রকাশ করতে হবে।
ভূমি অফিসের দূর্নীতির চেহারাও একই। টাকা খেয়ে নদী, খাল বিল, সরকারি জমির কাগজ আপনার নামে করে দিচ্ছে। উচ্চ আদালত ভৈরব নদের কৈখালী মাথাভাঙা অংশের ১১ কি.মি. বাঁককে নদীর অংশ বলে রায় দিলেও ২০২১ সাল থেকে আজ অবধি ভূমি অফিস (এসি ল্যান্ড অফিস ) রিপোর্ট ডিসি অফিসে পৌঁছাল না।
নেতৃবৃন্দ রেজিস্ট্রি অফিস ভূমি অফিসের বর্ণনা দিয়ে বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের ভিতর দিয়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে ঘুষ, দূর্নীতির কোন জায়গা থাকতে পারে না। শত শত ছাত্র জনতার জীবন দানের ভিতর দিয়ে অর্জিত দেশে বৈষম্য ঘোচাতে হবে, দূর্নীতি লুটপাট উৎক্ষাত করতে হবে। যদি সমাজে সর্বস্তর থেকে দূর্নীতি চাঁদাবাজি বন্ধ করতে না পারি, তাহ’লে আবু সাইদ, মুগ্ধরা আমাদের ক্ষমা করবে না।
নেতৃবৃন্দ রেজিস্ট্রি ও ভূমি অফিসের দূর্নীতি লুটপাটের তদন্ত এবং বিচারের দাবি করেন। ঘোষ দূর্নীতি বন্ধ না হলে আগামীতে রেজিস্ট্রি ও ভূমি অফিসের সামনে ধর্না দেওয়ার হুমকি দেন।
কর্মসূচির শুরুতেই পার্টি অফিস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে রেজিস্ট্রি অফিসে যায়।