আমিনুল হক, সুনামগঞ্জ
বাংলাদেশ খেলাফত মসলিসের মহাসচিব শায়খুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশ বৈষম্যবিরোধি ছাত্রজনতা এবং দেশের সব শ্রেণির মানুষের আন্দোলনে দি¦তীয় স্বাধীনতা লাভ করেছে। এটি বাংলাদেশের মুক্তির মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এই চেতনাকে ধারন করতে হবে। ১৯৭১ সালে ইসলামের কথা বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে কোরআন সুন্নাহ বিরোধী কাজ করেছে আওয়ামী লীগ। ১৯৭২ সালের সংবিধান সংশোধন করতে হবে। ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর দেশের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা অনেক ষড়যন্ত্র করেছে কিন্তুু জনতা তা ব্যর্থ করে দিয়েছে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসিকে ইস্পাত কঠিন শপথ নিতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি অন্তবর্তী কালিন সরকারকে সতর্ক থাকার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের রাজনীতি ছিল গুম, খুন ও প্রতিহিংসার। দেশের টাকা বিদেশে পাচার, নিরীহ মায়ের কোল খালি করা। আলেম ওলামাকে জেল জুলুম খাটানো। এ কারণে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে। বাংলাদেশের মাটিতে এক ইঞ্চিতেও তার ঠাঁই হয়নি। মামুনুল হক বলে আজ ৫ আগস্ট দ্বীতিয় স্বাধীনতার একমাস। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে জুলুম নির্যাতনের দিন শেষ হয়েছে। গত ১৫ বছর শেষ হাসিনা এক দলীয় শাসন ব্যাবস্থায় প্রতিশোধ ও বিভাজনের রাজনীতি করে গেছে। গত পনের বছরে হাসিনা সরকার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে পিলখানা সেনা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের শত শত নেতা কর্মী নিহত,নির্দো শ আল্লামা দেলোয়ার হুসেন সাঈদিকে হত্যা গুম খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড নির্বিচারে চালিয়ে গেছে তিনি এইসব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবী করেন। তিনি সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্য করে বলেন আপনারা আস্থা রাখুন ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর মাদ্রসা ছাত্রেররা মন্দির পাহারা দিয়েছে।ফ্যাসিস্ট শেষ হাসিনার ১৫ বছর শাসনকালে যেভাবে সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন হয়েছে গত একমাসে একটি নির্যাতনও হয়নি। আপনারা নিশ্চন্তে থাকুন আমরা আপনাদের পাশে আছি। শেখ হাসিনা ৭২ ‘ র সংবিধান দিয়ে ৭১ ‘র মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে খর্ব করেছে। জনগনের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতুসহ সারাদেশে হাজার হাজার মুর্তি স্থাপন করেছে। তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে বলেন বাংলাদেশ সংস্কারে বাংলার জনগণ তোমাদের পাশে আছে। শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন দেশ এখন পুঃগঠন চলছে আইনশৃঙ্খলা এখনো পুরোপুরি ইমেজ পায়নি আপনারা ধৈর্য ধরে কাজ করে যান, মালিকপক্ষকে বন্ধুসুলভ ও সহনশীল, সহকর্মীর মতো আচরণ করতে আহবান করেন। গতকাল খেলাফত মজলিস সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা সভাপতি মুফতি আজিজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজ জয়নুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা আতাউল্লা আমিনী, মাওলানা ফয়েজ আহমদ, মাওলানা আব্দুল মোক্তাদীর, মাওলানা নুর উদ্দীন, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা সাজাওয়ার, সহ খেলাফত মজলিসের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।