কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার ৩নং ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম মাজহারুল ইসলাম রানা ও সচিব রফিকুল ইসলাম ফকিরের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও আইন বর্হিভূত কাজের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবে ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও সচেতন নাগরিক গণ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য মতিয়র রহমান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আলেয়া আক্তার, তারমিনা খাতুন ও তাছলিমা খাতুন। সচেতন নাগরিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আজিম উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, পারভেজ আকন্দ, শহীদ মিয়া, আইনাল হক মৃধা, জাহাঙ্গীর আলম ও মো. সুমন খাঁসহ অন্যান্য নাগরিকবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম রানা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের ঘনিষ্টজন হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। চেয়ারম্যান রানা পরিষদের সচিব রফিকুল ইসলাম ফকিরের সাথে যোগসাজসে যৌথ হিসাবের টাকা ১৬টি চেক জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। অতিদরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচী (ইজিপিই) প্রকল্পের ১৯৩ জন সুবিধাভোগীর মোবাইল সীম কৌশলে তার কাছে রেখে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচী টিআর, কাবিখা, কাবিটা, হাট বাজার, ফেরী ঘাট ইজারা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা বিতরণ, গভীর নলকুপ স্থাপনে নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা নেশাগ্রস্থ, জুয়াখোর, দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম রানা ও ইউপি সচিব রফিকুল ইসলাম ফকিরের অপসারণ দাবী করেন।
এ ব্যাপারে ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রফিকুল ইসলাম ফকির বলেন, কাজ করার আগে, চলমানকালীন সময় ও পরে ছবি তোলা হয়। এগুলোর জিপিএস চালুর পরে অনলাইনে বিল জমা দিতে হয়। ডিডি এলজি’র ডিস্ট্রিক্ট ফেসিলেটর সরেজমিনে কাজগুলো দেখেন। এরপর আমরা চেক দেই। এখানে আত্মসাৎ করার কোন সুযোগ নাই।
চেয়ারম্যান এ কে এম মাজহারুল ইসলাম রানা বলেন, ভিত্তিহীন এবং এর সত্যতা নাই। মহিলা মেম্বারসহ কয়েকজন মেম্বার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। কিছুদিন আগে তারাই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। আবার তারাই মুচলেকা দিয়েছেন। এসিল্যান্ড মহোদয় তদন্ত করেছন এবং তার (এসিল্যান্ড) কাছে রিপোর্ট আছে।