সোয়াইব আলী, জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) কথিত সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি-দখলবাজিতে অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলনের সব কাজ থেকে বিরত রাখা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক এবং নির্যাতিত ছাত্র নেতা মো. নুর নবী।
সোমবার (২ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে বিভাগীয় ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে নূর নবী বলেন, আমাদের কিছু শিক্ষার্থীর বিভিন্ন মার্কেটে গিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়ে জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য প্রমাণ পাইনি। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলনের সব কার্যক্রম থেকে তাদের বিরত রাখা হবে।
এর আগে বিভিন্ন এর আগে শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগ উঠেছে। সমন্বয়ক পরিচয় ব্যবহার করে ভাড়ায় বিভিন্ন জায়গায় বিচার-সালিসের নাম করে চাঁদাবাজি, লঞ্চ মালিক সমিতিকে শেল্টারের নামে টাকা নেয়া, পুলিশ কর্মকর্তাকে মামলা থেকে বাঁচানোর জন্য চাঁদা নেয়া, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার নামে চাঁদা, বাজার মনিটরিং-এর নামে ব্যবসায়ীদের থেকে চাঁদা এবং জমি, ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন দোকান দখল করে দিয়ে লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সেসব প্রতিবেদনে, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাকসুদুল হক, একই বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মো. সোহান প্রামাণিক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. রাশিদুল ইসলাম, ফার্মেসী বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আবু বকর খান, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের একেএম পারভেজ রাকিব, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের সানাউল্লাহ আল ফাহাদ সহ আরো কয়েকজন নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে জানানো হয়।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে আরো জানা গেছে, এই চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটে আরো রয়েছেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আফজাল, অনিক, রিজু। এছাড়াও এই সিন্ডিকেটে আরো রয়েছে দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. তাওহীদুল ইসলাম। মাকসুদুল ও সোহান প্রামাণিকের সাথে মিলে এরাই মূলত চাঁদাবাজির কাজগুলো করে থাকে বলে জানা গেছে।