কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের শিশুকে ঢাকায় নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী৷
গৃহকর্মী জিদনী আক্তারকে (১১) শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে নির্মম ভাবে হত্যার প্রতিবাদে ২ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে উপজেলার মুমুরদিয়া চাতল গ্রামের এলাকাবাসী ও চাতল বাগহাটা স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক ঘন্টা ব্যাপী এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
কটিয়াদী-মানিকখালী সড়কের চাতল বাগহাটা স্কুল এন্ড কলেজের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুমুরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলা উদ্দিন সাবেরী, ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহাবুদ্দিন, ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার মুজিবুর রহমান টিপু, চাতল বাগহাটা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হেমায়েত উল্লাহ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ইব্রাহিম, হানিফ শেখ, কলিম উদ্দিন, আনার মিয়া, মাহফুজ, অনিক, মোস্তাফিজ, টিটু, রুহুল আমিন, জুয়েল, মহিউদ্দিন খাঁ প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, জিদনীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার আজ ১০-১২দিন হয়ে গেলেও এখনো কোন আসামী গ্রেপ্তার হয় নাই। আমরা অবিলম্বে ঘাতকদের গ্রেপ্তার ও তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন।
উল্লেখ্য যে, উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের চাতল গ্রামের মোঃ শরিফ মিয়ার শিশু কন্যা জিদনীকে দূর সম্পর্কের আত্মীয় পাপিয়া আক্তারের মাধ্যমে ঢাকার লালবাগ এলাকায় বসবাসকারী ব্যবসায়ী নুরুজ্জামানের বাসায় গৃহকর্মীর কাজের জন্য দেয়া হয়। নুরুজ্জামানের স্ত্রী আছমা উল হুসনা ও তার সন্তানেরা জিদনীকে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন করে হত্যার পর বোরকা প্যাচিয়ে গত ২২ আগস্ট গভীর রাতে জিদনীর বাবার বাড়িতে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জিদনীর চাচা মাহফুজ মিয়া বাদী হয়ে সাতজনকে আসামী করে ঢাকা লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।