(নোয়াখালী প্রতিনিধি -মোহাম্মদ শহিদ)
নোয়াখালী কবির হাট পৌরসভায় স্কুল কলেজে আশ্রয় কেন্দ্র প্রতিদিন তিন হাজার মানুষের খাবার আয়োজন করা হয়।
কবির হাট বাজারে মুদি ব্যবসীয় ও লাস্ট টেষ্ট কাবাব হাউসের মালিক কবির হাট পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড়ে বাসিন্দা তারেক রহমান (রাজন) তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এই আয়োজন করেন।
২২ই আগস্ট থেকে পানি বন্দি মানুষ গুলো বসতবাড়ি ছেড়ে কবির হাট সরকারি কলেজ ও কবির হাট সরকারি মড়েল উচ্চ বিদ্যালয়ে,কে এস ভবন , আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ আসতে শুরু করে, প্রতিদিন দুপুর ও রাতে প্রতি বেলায় ১৫০০ শ করে দুই বেলায় ৩ হাজার মানুষের খাবার আয়োজন করেন তিনি, এতে প্রতি বেলায় রয়েছে মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ও কখনো কখনো বিরানি ও খিচুড়ি আয়োজন করা হয়। স্বেচ্ছাসেবকদের দিয়ে খাবারগুলো পৌছে দেন তিনি।
বন্যায় ভয়াবহ রুপ দারণ করলে কবির হাট পৌরসভা সিলিন্ডার গ্যাসের সমস্যা দেখা দিলে। ব্যবসীয় তারেক রহমান তিনি তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২৭০টি সিলিন্ডার গ্যাস তিনি বিনামূল্য বিতরণ করেন, তার মাঝে ২২০ টি প্রকাশ্যে বিতরণ করেন। বাকি ৫০টি গ্যাস সিলিন্ডার যারা লোক লজ্জার হয়ে আসতে পারেননি গোপনে তাদের কাছে পৌঁছিয়ে দেওয়া হয় । বিনামূল্য গ্যাস সিলিন্ডার পেয়ে মানুষ অনেক খুশি,
এতে দিন মজুর জসিম উদ্দিন সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন , কবির হাট বাজারে যখন সিলিন্ডার গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে, মানুষদের মাঝে হাহাকার শুরু হয়েছে। রান্না করার মত কোন ব্যবস্থা নেই, তখন তিনি এই কবির হাট বাজারে মানুষের মাঝে বিনামূল্য গ্যাস বিতরণ করেন, এতে মানুষের মাঝে ভোগান্তি দুর হয়।
আশ্রয় কেন্দ্রের একাধিক ব্যক্তি বলেন, আমরা এই খানে অনেক ভালো আছি এখানে খাবারের মান অনেক উন্নত, প্রতি বেলায় মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, ও কখনো কখনো বিরানি ও খিচুড়ি দেয়। তারা আরো বলেন, লাস্ট টেস্ট কাবাব হাউসের মালিক তারেক রহমান (রাজন)বন্যার শুরু থেকে প্রতিদিন এই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে তিনি তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেন।
এ বিষয় তারেক রহমান (রাজন) বলেন, আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই কাজ করতেছি বসতবাড়ি ছেড়ে যারা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন সবাই আমাদের মেহমান । আমি আমার দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা দিযে মেহমানদের আপ্যায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, প্রতি বেলায় ১৫০০শ করে দুই বেলায় ৩ হাজার মানুষের আয়োজন করা হয় ,
তিনি আরো বলেন কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ঘোষবাগ কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, কবিরহাট ইসলামী আলিম মাদ্রাসা, মির্জানগর এতিমখানা , চানখোলা দরবেশ হুজুরের এতিমখানায়, করমবক্স হাই স্কুল ও করমবক্স সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে সর্বপ্রথম প্রায় ১২ হাজার শুকনো খাবার ও এক হাজার মানুষের মাঝে ১০ কেজি করে চাউল সরবরাহ করি।
তিনি আরো বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে যতদিন মানুষ থাকবে ততদিন পর্যন্ত সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাব। মেহমানদের জন্য প্রতি বেলায় মাছ-মাংস, ডিম,ডাল ও কখনো কখনো খিচুড়ি ও বিরানির আয়োজন করা হয় । আমার লাস্ট টেস্ট কাবাব হাউজের কর্মচারীরা সব সময় সেবায় নিয়োজিত আছে। আমি সবার কাছে দোয়া চাই যেন মানুষের জন্য আরো ভালো কিছু করতে পারি বলে জানান তিনি।