জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ময়মনসিংহ বিভাগের ঐতিয্যবাহী পিংনা গোপালগঞ্জ গরুর হাটের দখল দারিত্ত নিয়ে পিংনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার বেলা এগারোটার সময় উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের পিংনা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পিংনা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ জানান, পিংনা গোপালগঞ্জ গরুর হাট মুলত আওয়ামী সরকারের সময় তার দলের লোকজন ডাকের মাধ্যমে বিট নিয়ে আসে।
পরবর্তীতে গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর তারা এলাকা ছেড়ে গাঁঢাকা দিলে বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করে হাটের কালেকশনের জন্য একটা চুক্তিতে আসি। যে চুক্তি অনুসারে আমরা বিএনপি সমর্থক লোকজনে এক অংশ আর বাকী অংশ হাটের মুল বিটার নিবে।
এর মধ্যে আমার ইউনিয়ন বিএনপির দুই ভাগ হয়ে এক ভাগ সভাপতি সমর্থক আরেক ভাগ আমি সাধারণ সম্পাদক সমর্থক নিবো। এভাবেই হাট পরিচালিত হয়ে আসছিল।
কিন্তু হঠাৎ করেই সভাপতি সমর্থক আমাদের কোন অংশ না দেয়ার মতলবে গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক দশটার সময় সভাপতি নাজুর সমর্থনে প্রয়াত সাবেক মেম্বার ফজলের ছেলে শুভাস দলবল সহকারে পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার নিজ বাড়ীতে অতর্কিত হামলা চালায়।
আমাকে উদ্দেশ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ছুড়ে আমি পালিয়ে গেলে আমার বৃদ্ধ মা কে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে তাকে আহত করে আমার ঘরে ঢুকার চেষ্টা করে।
পরে আমাকে না পেয়ে আমার বাড়ী থেকে একটা ডিসকভার ১৩৫ সিসি মোটর সাইকেল নিয়ে যায়।পরদিন সাপ্তাহিক গরুর হাট শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে আমি আমার লোকজন নিয়ে হাটের দিকে গেলে পিংনা মোড় এলাকায় আবারো আমাদের উপর শুভাস বাহীনি হামলা চালায়।
হামলায় ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহ জামালকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তার হাত ভেঙ্গে দেয় এবং তার ব্যাবহৃত মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। এ ছাড়াও রবিন তালুকদার, সম্রাটসহ বেশ কয়েক জনকে আহত করে।
আমাদের নেতা জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামিম বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেয়ায় তার অপেক্ষায় আছি।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সভাপতি নাজু বলেন, হাটের ভাগের বিষয় নিয়ে কোন ধরনের গন্ডগোল হয় নাই।
আমি যতটুকু শুনেছি শুভাসের পিতা ফজল মেম্বারের হত্যাকারি আওয়ামীলীগের সন্ত্রাশী হাই মেম্বার ও নুরুইসলাম মেম্বারকে নিয়ে রশিদ মিটিং করছে আর এটি শুভাস শুনতে পেরেই রশিদের বাড়ীতে যায় গিয়ে তাদের কে না পেলেও হাই মেম্বারের মোটর সাইকেলটি সেখানে দেখতে পায়।
সেখানে শুভাস একটু উচ্চস্বরে কথা বললেও কোন প্রকার হামলা করেনি