শাকিল বাবু
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির বিরুদ্ধে শিক্ষক হেনস্থা এবং ভ্রান্ত, বিব্রতকর, মানহানিমূলক ও কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দর্শন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সংগঠনটির বিরুদ্ধে দুপুর সাড়ে ১২টায় একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানা যায়, গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭ টা ১০ মিনিটে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি তাদের অফিসিয়াল পেইজ থেকে মো. তারিফুল ইসলামের নামে বঙ্গবন্ধু হলের হাউজ টিউটর পদ থেকে পদত্যাগ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে পোস্ট করলে যা ছিল সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ও বিভ্রান্তিমূলক এবং পরবর্তীতে গতকাল ২৮ আগস্ট পুনরায় তাদের পেইজ থেকে নিজেদের ছড়ানো গুজবকে ‘গুঞ্জন’ বলে পোস্ট করে এই সংগঠন।
তাদের পোস্টে লেখা ছিলো, “সম্প্রতি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের হাউজ টিউটর পদ থেকে দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: তারিফুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন বলে গুঞ্জন ছড়ায় অন্য দুই হাউজ টিউটর এবং একজন কর্মকর্তা। তবে হল দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনি এখনো পদত্যাগ করেন নি।”
এমন ভুয়া তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করায় এবং উক্ত শিক্ষককে নানাভাবে ‘আলোচিত-সমালোচিত হাউজ টিউটর’ অ্যাখ্যা দেওয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ হয় এই সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলে, “সাংবাদিক সমিতির পেইজ থেকে এমন ভ্রান্ত তথ্য প্রকাশের পর আমরা নানাভাবে তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি এবং উদ্দেশ্যপ্রোণোদিতভাবে করা এই সংবাদের কারণ জানতে চেয়েছি।
কিন্তু তারা নানাভাবে দেখা করার এবং প্রতিনিধি পাঠানোর আশ্বাস দিলেও কোনো রকম সাক্ষাতে তারা রাজি হয়নি। আজ সকাল ১০টায় তাদের অফিসে শিক্ষার্থীদের আহ্বান করলেও সেখানে অনুপস্থিত ছিল তারা।”
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা আরও বলে, “বারবার সাংবাদিক সমিতি তাদের পেইজ থেকে আমাদের শিক্ষককে নানাভাবে নানা সময়ে আলোচিত-সমালোচিত অ্যাখ্যা দিলেও এর ব্যাখ্যা তারা দিতে পারিনি কখনই। আমরা এর জবাব চাই। এছাড়া শোনা গুঞ্জনের ভিত্তিতে তথ্যের সত্যতা যাচাই না করে কিভাবে একটি সাংবাদিক সংগঠন কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রচার করে? তাদের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু?
এছাড়া সংবাদ প্রকাশের পর সংগঠনটির সভাপতি দায়িত্বশীল পদে থেকেও জনাব ফাহাদ বিন সাঈদ কিভাবে এমন ভ্রান্ত ও ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর নিজ প্রোফাইল থেকে উক্ত পোস্টে একজন সম্মানিত শিক্ষককে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারে এ ব্যাপারেও জবাবদিহিতা চায় শিক্ষার্থীরা।
পাশাপাশি, বঙ্গবন্ধু হলে আরো অনেক হাউজ টিউটর থাকলেও নির্দিষ্ট একজন শিক্ষকের পদত্যাগ করা বা না করা নিয়ে সংগঠনটির মাথাব্যাথা ও শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের কোনো অভিযোগ বা তথ্য প্রমাণ তাদের কাছে আছে কিনা এ ব্যাপারেও জবাবদিহিতা চায় শিক্ষার্থীরা।