বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও মাদকসেবিদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নোটিশেই সীমাবদ্ধ থাকে। বিভিন্ন সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধের বিষয়ে নোটিস জারি করা হলেও, কার্যকর পদক্ষেপের অভাব লক্ষ্য করা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বহিরাগত প্রবেশে নিষিদ্ধ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকপাড়, কফি হাউজ, নিউমার্কেট সহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্হানে বহিরাগত ও মাদকসেবিদের আড্ডা বসেছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে না কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, শুধু নোটিশ জারি করলেই সমস্যার সমাধান হবে না। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ প্রতিনিয়ত চলমান। শিক্ষার্থীদের দাবি, এই বহিরাগতদের মধ্যে অনেকেই ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের উচিত কার্যকরী পদক্ষেপ এবং নিয়মিত তদারকি করা। বিষয়টি বারবার নোটিশে সীমাবদ্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষও প্রকাশ পেয়েছে।
ঔষধ বিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওবায়দুল বলেন, “আমরা প্রত্যাশা করি যে প্রশাসন শুধু নোটিসেই সীমাবদ্ধ না থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও মাদকসেবিদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু দার্দা বলেন,”প্রশাসনের এই আশ্বাস কেবল কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে , বরং তা বাস্তবায়িত হোক। ক্যাম্পাসের পরিবেশ ও শিক্ষার মান বজায় রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, “ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন । প্রশাসনের উচিত নিয়মিত মনিটরিং ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।”
এই বিষয়ে প্রক্টর ড.মোঃ কামরুজ্জামান বলেন,”আমরাতো চেষ্টা করছি আমি গেটে যেয়ে বলে আসলাম আর ছাত্রদের একটু এলার্ট হতে হবে তারাই বাইরেরে পোলাপান নিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সহোযোগিতা প্রয়োজন। পাশাপাশি যাদের আইডি কার্ড নেই তারা বিভাগের শিক্ষক বা আমার সাথে কথা বলিয়ে দাও। কিন্তু গেটের দায়িত্বে যারা আছে তাদের সাথে খারাপ আচারণ করোনা। “