( প্রতিনিধি -মোহাম্মদ শহিদ)
নোয়াখালী কবির হাট উপজেলা ধানসিঁড়ি ও ধানশালিক ইউনিয়নে নোয়াখালী খালের মধ্যে বাঁধ দেওয়ার কারণে বন্যায় প্লাবিত হয়ে তলিয়ে যায় কবিরহাট উপজেলা। ঢুকে গেছে ঘরবাড়িতে পানি তলিয়ে গেছে গবাদি পশুর খামার ও মাছে খামার ও ভেসে যায়,
পানি বন্দী হয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার মানুষ গুলো পরিবার- পরিজনকে বাঁচানোর জন্য ছুটে আসে আশ্রয়ন কেন্দ্রে আশ্রয় নেয় হাজার হাজার মানুষ, বন্যার কারণে ভয়াবহ ভোগান্তিতে স্বীকার কবিরহাট উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন সহ এক টি পৌরসভা ।গত ২০ শে আগস্ট থেকে এই উপজেলায় বন্যার ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।
নোয়াখালী খালের বাঁধ কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে এখনো বন্দী হয়ে আছে এই এই উপজেলার প্রায় 2 লক্ষ মানুষ। পরিবার-পরিজন নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই কোন কোন গ্রামে ত্রাণ পর্যন্ত পৌঁছায়নি মানুষের কাছে ,নোয়াখালী খালের বাঁধ কাটা নিয়ে গত ১২ ই আগস্ট জাতীয় দৈনিক জনবাণী পত্রিকায় নোয়াখালীতে বন্যায় পানিবন্দী প্রায় ১ লাখ মানুষ শিরোনামে এমন একটি নিউজ প্রচার হয়।
সেখানে কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন, বাঁধের মুখে পাইপ দিয়েছে পানি নামতেছে, তবে বাঁধ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বাঁধ কাটার বিষয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি হয় বলে জানার তিনি।
১২ ই আগস্ট থেকে ২০ শে আগস্ট পর্যন্ত নোয়াখালী খালে বাঁধকাটা নিয়ে তিনি কোন আলোচনা বা বাঁধ কাটার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেন নেই বলে জানা যায়, ২১ই আগস্ট থেকে কবিরহাট উপজেলায় বন্যায় ভয়াবহ অবস্থা শুরু হলে সংবাদ কর্মীরা ও বিভিন্ন পেশার মানুষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে জানালে মানুষের চাপে পরবর্তীতে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীকে নিয়ে তিনি খাল পরিদর্শনে যান।
পরিদর্শনে গিয়ে তারপরের দিন নোয়াখালী খালের কিছু বাঁধ কাটার ব্যবস্থা করেন তিনি, কিন্তু জনতা বাজার রিক্সাওয়ালার দোকান থেকে চর মন্ডলিয়া যাওয়ার পথে খালের মাঝে গত বছর বাঁধ নির্মাণ করা বাঁধটি কাটার ব্যবস্থা করেন নি তিনি। আজ ২৮শে আগস্ট সকালে বাঁধ কাটার জন্য নোয়াখালী খালের আলগি বাজারের দক্ষিণ উত্তর পূর্ব পাশে খালের মধ্যের বাঁধগুলো কাটে।
তবে রিক্সাওয়ালার দোকানের সামনে বাঁধটি কাটার জন্য যায় নি বলে জানান বিভিন্ন মানুষ ,বাঁধ কাটার জন্য সকাল থেকে প্রশাসনের অপেক্ষায় ৬ থেকে ৭হাজার মানুষ সমাগম করে। প্রশাসন না যাওয়ায় চলে যায় বহু মানুষ জনতা বাজার রিকশাওয়ালা দোকানের সামনে থেকে । নোয়াখালী খালের মধ্যে বাঁধ যেন না কাটতে পারে স্থানীয় প্রায় এক থেকে দুই হাজার মানুষ দেশীয় অস্ত্র লাঠির ছোটা নিয়ে এবং মহিলারা মরিচের পানি ও লাঠি অবস্থান করে।
বিকাল ৪ ঘটিকার সময় কবিরহাটের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ২০ থেকে ৩০ গাড়ি নিয়ে শত শত মানুষ ধানশালিক বাজার থেকে জনতা বাজারের দিকে রওনা দেয়। তখনই বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে জানতে পারে রিকশাওয়ালার দোকানের খালের ওই পাশের মানুষগুলো নাকি দেশীয় অস্ত্র লাঠি নিয়ে অবস্থান করতেছি, এটা শুনে গাড়িগুলো থামিয়ে রাস্তার পাশ থেকে বিভিন্ন গাছ থেকে লাঠি রাস্তা থেকে পাথর সংগ্রহ করতে শুরু করে।
ধানশালিক বাজারের নবী মেম্বার বাঁধের কাছে যাবার জন্য নিষেধ করার নবী মেম্বার এর উপর হামলা করে তারা। নবী মেম্বারকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয় এতে দুই পক্ষের প্রায় 30 জন আহত হয়।সংঘর্ষ চলাকালীন অবস্থায় নীরব ভূমিকায় ছিল প্রশাসন