সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে আউটসোর্সিং কর্মীদের চাকুরী সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষে কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সদর হাসপাতাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সমর কুমার পাল। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের উপপরিচালক (তত্ত্বাবধায়ক) ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শুকদেব সাহা, সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ, জেলা বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত ও খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা, আউটসোর্সিং কর্মীরা ও স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরাসহ হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
সভায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী আউটসোর্সিং কর্মীদের বক্তব্য এবং সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য শুনেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সমর কুমার পাল। পরে এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সর্বসম্মতিক্রমে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। কমিটিতে সিভিল সার্জন প্রতিনিধি, হাসপাতাল প্রতিনিধি, সাংবাদিক ৪ জন, বিএনপি ৪ জন, জামায়াত ২, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪, হেফাজত প্রতিনিধি, খেলাফত প্রতিনিধি, আউটসোর্সিং ২জন এবং স্বেচ্ছাসেবক ২জন কর্মীকে কমিটির সদস্য রাখা হয়েছে।
সভা চলাকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সমর কুমার পালের সামনে আউটসোর্সিং চাকুরি নিয়ম-কানুন বিষয় পক্ষে-বিপক্ষে উপস্থাপন করেন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের উপপরিচালক (তত্ত্বাবধায়ক) ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, ডেপুটি সিভিল সার্জন, সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, আউটসোর্সিং নিয়োগের আয়া শাহিনা আক্তার পলি, নিরাপত্তা কর্মী মিজানুল হক, ওয়ার্ড বয় তৌফিক মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক কর্মী আব্দুল কাদির।
এ সময় সমস্যা সমাধানে বক্তব্য রাখেন গণমাধ্যমকর্মী মাসুম হেলাল, আল হেলাল, বিএনপি নেতা রেজাউল হক, আবুল কালাম, জামায়াতের তোফায়েল আহমদ খান, খেলাফত মজলিসের সাখাওয়াত হোসেন প্রমূখ। এ ছাড়াও বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা, আউটসোর্সিং কর্মীরা ও স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ২০২২ সালে নিয়োগ দেয়া হয় ৬৪ জন আউটসোর্সিং স্বাস্থ্যকর্মী। এরপর ২০২৩ সালে তাদের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাদের সাথে করা চুক্তি অনুযায়ী হাসপাতালে না আসার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
তবে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরিত ১২ জুনের অফিস আদেশ বলছে, আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগকৃত কর্মীদের চুক্তি বৃদ্ধি করা যাবেনা। নতুন টেন্ডার আহবান করে নতুন মানুষ নিতে হবে। এর কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে একই সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট একটি হাসপাতাল/প্রতিষ্ঠানে একাধারে কাজ করার ফলে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি পরিলক্ষিত হয়। তাই আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় কর্মী সেবা ক্রয়ে মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনা মানার আদেশ দেয়া হয়। এতে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা সমাধানে বুধবার সভা অনুষ্ঠিত হয়।