নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ১১ জেলায় বন্যার্থদের সাহায্যার্থে উৎসব খরচ কমিয়ে নেত্রকোনায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপিত হয়েছে।
মন্দিরে মন্দিরে উৎসবের পুজার্চনায় দেশের মানুষ ও বন্যা কবলিতদের মঙ্গল কামনায় করা হয়েছে বিশেষ প্রার্থণা। সোমবার নেত্রকোনা জেলা শহরের নরসিংহ জিউর আখড়া, ইসকন ছাড়াও দুর্গাপুর, কেন্দুয়া, খালিয়াজুরীসহ জেলার ১০ উপজেলায় এই আয়োজন করে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ জেলা ও উপজেলা কমিটি। আয়োজিত কর্সূচির মধ্যে রয়েছে পুজার্চনা, গীতাপাঠ, প্রার্থণা, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও প্রসাদ বিতরণ।
সকালে জেলা শহরের নরসিংহ জিউর আখড়া মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণের পুজার্চনার পর মন্দির প্রাঙ্গণে হয় আলোচনা সভা।
শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ জেলা কমিটির সভাপতি সুব্রত সাহা রায় মানিকের সভাপতিত্বে জন্মাষ্টমীর আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ, পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. মজিবুর রহমান খান, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জ্ঞানেশ রঞ্জন সরকার, সাধারণ সম্পাদক লিটন পন্ডিত, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এডভোকেট সিতাংশু বিকাশ আচার্য্য, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিটন দত্ত প্রমুখ। পরে মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা বের হয় শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারও মন্দির প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ভক্তবৃন্দের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
নেত্রকোনা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিটন পন্ডিত বলেন, ‘উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জেলা শহর ও উপজেলাগুলোতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উৎসব পালিত হয়। সব কয়টি উপজেলায় শোভাযাত্রা হয়েছে। দেশের ১১ জেলার বন্যা কবলিতদের সহযোগিতার জন্যে উৎসবে খরচ কম করা হয়েছে। অন্য বছরে শোভাযাত্রায় যে বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয় এবার তাও করা হয়নি। এভাবে কর্মসূচির প্রতিটি আঙ্গিকেই খরচ কমানো হয়েছে। উৎসবে খরচ কমিয়ে বাঁচানো অর্থ বন্যার্থদের সহযোগিতায় দেওয়া হবে।