আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
গবাদি পশুর ওষুধ বিভিন্ন প্রিন্টিং প্রেস থেকে হলোগ্রাম ও স্টিকার বানিয়ে প্লাস্টিকের বোতলে গবাদিপশুর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধ বিক্রয় করা হয়।
গবাদিপশু এই ওষুধ মিশ্রিত খাবার খেলেও তা গবাদি পশুগুলোর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মানুষের জন্য পরবর্তীতে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
আনোয়ারা উপজেলার বটতলী বাজার নাহার ড্রাগ হাউজে গরু ছাগল হাঁস মুরগীর আইটেম কোড ছাড়া গবাদি পশুর অবৈধ ভেজাল ওষুধ অবাধে বিক্রয় হচ্ছে যানা যাই জে.বি এগ্রো হেলথ কেয়ার নামের এক উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠানের কিন্তু কর্তৃক পক্ষ বলছে আইটেম কোড ছাড়া কোনো ওষুধ বিক্রয় হই না।
তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যে গুলোর মধ্যে আইটেম কোড ছাড়া রয়েছে পাউডার-ফ্যাটি-১১ ভেট-৫০০ গ্রাম,পাউডার এল, এস, ডি গার্ড ১০০ গ্রাম,পাউডার প্রোবায় টপ – ১০০ গ্রাম,পাউডার এগ্রোডিট ডিবি প্লাস ১কেজি,পাউডার মিল্কটন ১৭ কেজি,পিউকু নি, লিকউড এডমিন ফোর্ট, সিরাপঃ এডমিন ফোর্ট, সিরাপ- ক্যালভিসল ফোট, সিরাপ- আইরোটন।
এসব ওষুধের প্যাকেটে উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠানের নাম হিসেবে জে.বি এগ্রো হেলথ কেয়ার নাম ও ঠিকানা লেখা। কিন্তু প্যাকেটে নেই উৎপাদন লাইন্সেস নম্বর।
জেবি এগ্রো হেলথ কেয়ার একাধিকবার কল দিলেও কল রিসিভ করেনি।তবে অনুসন্ধানে একটি কল রেকর্ড কর্তৃক পাওয়া যাই কল রেকর্ডে উঠে আসে যে ওষুধের আইটেম আছে সবগুলোতে আইটেম কোর্ট থাকবে,যেগুলোতে আইটেম কোর্ট থাকবে না সেগুলো অবাধে ঘোষণা করেছি আমি অনেক আগে, জার্মানি যারা এখন বেচতেছে সবগুলা ভুয়া ওষুধ।
এ বিষয় নাহার ড্রাগ হাউজের প্রোপ্রাইটর মো হোসেন বলেন, আমি বিক্রি করি ১৪ থেকে ১৫ টা আইটেম কোড লাগানো বাধ্যতামূলক নয় আমার ২৮ টি প্রোডাক্টের অনুমোদন আছে এখানে আইটেম কোর্ট কোন প্রয়োজন নেই আইটেম কোড এর বিষয় জানতে চাইলে আরো আপনি আনোয়ারার প্রাণীর সম্পদের অফিসে যান, ওইখানে সব কাগজপত্র দিয়ে আসছি আমি।
নাম গোপন রেখে এক দোকানদার বলেন, তাদের এরকম আরও বিভিন্ন নামে বেনামে ওষুধ রয়েছে, এই ওষুধগুলো যখন আমার দোকানে আনে, যখন আমি বুঝতে পারি এটা দুই নাম্বার ওষুধ, তখন থেকে আমি ওষুধ নিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি এদের থেকে, এরা ডাক্তারকে টাকা দেয় এই ওষুধগুলো লেখার জন্য, এদের আনোয়ারায় অনেক বড় সিন্ডিকেট আছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. সমরঞ্জন বড়ুয়া কে একাধিকবার ফোন দিলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।