জলঢাকা প্রতিনিধি:
“নিউজ করে কি হবে? পেপার কেউ পড়ে না। দেখেও না। অনিয়মের নিউজ করে কি কাজ বন্ধ হয়?” সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ওবায়দুল ইসলাম নামে এক ভায়া ঠিকাদার। গত ৩
০ জুলাই ২০২৪ইং তারিখে জাতীয় দৈনিক গণমুক্তি, দৈনিক বাংলা, দৈনিক খবর পত্র ও দৈনিক ভোরের আকাশ পত্রিকায় প্রকাশিত “জলঢাকায় সেচ খালের পূর্ণবাসণ ও শক্তিশালীকরণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম” শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশের পর টনক নড়ছে না নীলফামারী পওর বিভাগের কতৃপক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের।
সংবাদ প্রকাশের পরেও চলছে নানান অনিয়ম, অনিয়মের মাত্রা যেন আরও বেড়েই চলছে। যা দেখার কেউ নেই। নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের পূর্ব খুটামারা ৯নং ওয়ার্ড হাজীপাড়া, ফজিলত পাড়া ও চেংমারী এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া টি১এস৫টি এবং টি২এস৫টি সেচ খালের উভয় ডাইকের প্রায় সাড়ে ৫ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্য পর্যন্ত পূর্ণবাসণ ও শক্তিশালীকরন কাজ চলমান রয়েছে।
তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পূর্ণবাসন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প” এর আওতায় নীলফামারী পওর বিভাগের বাস্তবায়নে এই চলমান কাজের ঠিকাদারি পেয়েছে মেসার্স এম রহমান, ঠিকানা ময়মনসিংহ জেলা শহরের ১৯ অতুল চক্রবর্তী রোড।
জানা যায়, উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম রহমান নিজে কাজটি না করে তা বিক্রি করে দেয়। ভায়া ঠিকাদারের মাধ্যমে ৮ কোটি ২৭ লক্ষ ৬৭ হাজার ৮শত ৩৩ টাকার চলমান কাজের ব্যাপক অনিয়ম থাকার পরেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা কতৃপক্ষ।
গত ৭ ও ৮ আগস্ট সরেজমিনে আবারো ছদ্মবেশে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগের তুলনায় অনিয়মের মাত্রা বেড়েই চলছে। ভিডি বালু, শুকনো পাথর ও চাষাবাদি জমির ময়লা পানি দ্বারা মশল্লা তৈরি করে চলছে ঢালাইয়ের কাজ। ৬ ইঞ্চি চতুর্ভুজ মাপে রড বাধার নিয়ম থাকলেও ৭ থেকে ৮ ইঞ্চি ফাঁকা দেখা যায়।
আগের মতোই নীলফামারী পওর বিভাগের কাউকে পাওয়া যায়নি। সাংবাদিক উপস্থিতি টের পেয়ে এক ব্যক্তি “শাক দিয়ে মাছ ডাকতে” স্থানীয় কিছু লোকজনকে ডেকে এনে সাফাই সাক্ষী দেয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে কাজের অনিয়মের ভিডিও দেখে উক্ত ব্যক্তিরাও অনিয়মের কথা স্বীকার করেন।
পরোক্ষণে দেখা হয়,পওর বিভাগের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মাজেদুল ইসলামের সাথে, তিনি ক্যামেরায় মুখ খুলতে নারাজ। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) তাজমিনুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন অনিয়ম পেলে কাজ বন্ধ করে দেয়া হবে।
পরে নীলফামারী পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান এর কাছে অনিয়মের আংশিক ভিডিও পাঠালে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। তিনি মুঠোফোনে বলেন, কাজ বন্ধ আছে। আমাদের লোক গিয়ে চেক করবে তারপর কাজ শুরু করবে। ফলোআপ-১