তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
আওয়ামীলীগ নাম নিয়ে যেখানেই দাঁড়াবে সেখানেই গণপিটুনি খাবে বলে মন্তব্য করেছেন মরহুম সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র সাবেক এমপি এম নাসের রহমান।
তিনি বলেন–১৫ই আগস্ট আওয়ামী দুর্বৃত্ত সরকারের একটা দিবস আছে। এদিনে তারা দেশে কিছু ঘটনা ঘটাতে চায়। এই যে তারা যে সমস্ত ভুয়া বানোয়াট এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান বানিয়েছে এগুলোকে দিয়ে একটা গন্ডগোল বাঁধানোর ষড়যন্ত্রে পায়ঁতারা করছে।
আরকেটা ছিল-হিন্দুদের বাড়ীতে বা মন্দিরে আক্রমণ করবে আর সব দোষ বিএনপির উপর চাপানো। সেটাও সফল হতে পারেনি। তবে সারাদেশে এই পরাজিত শক্তির দালালরা এখনও রয়ে গেছে। ঘাপটি মেরে বসে আছে। একটা বিপ্লব হওয়ার পরে সব পালিয়ে গেলেও লেজটুকু থেকে যায়। এগুলো একটু নাড়াচড়া করে।
এই পতিত সরকারের লেজগুলো যাতে নড়াচড়া না করতে পারে এব্যাপারে সকলকে ৪৮ ঘন্টা কড়া সতর্কতায় রাজপথে কড়া পাহাড়ায় থাকতে হবে। যাতে আওয়ামী লীগ আর রাজপথে মিছিল মিটিং করতে না পারে।
দলীয় নেতাকর্মীদের তিনি বলেন- ১৫ আগস্ট সকাল নয়টা থেকে রাত পর্যন্ত ১৪ ঘন্টা রাজপথ দখলে রাখতে হবে। দলে দলে ভাগ হয়ে সারাশহর দখলে রাখতে হবে। স্বৈরাচারীনির দোসরদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। রাজপথে আর এদের স্থান দেয়া হবে না।
মনে রাখবেন –দেশে ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া এই খুনী হাসিনার দল আওয়ামী লীগ গর্তে চলে গেছে। তবে এদের দোসররা এখনো আছে। এদেশে এখন একমাত্র রাজনৈতিক দল বিএনপি।
এ দলের রয়েছে কোটি নেতাকর্মী। হাজারো নির্যাতন-দমন-পীড়ন চালিয়েও নেতাকর্মীর মনোবল ভাঙঁতে পারেনি। দলের নেতাকর্মীদের নাসের রহমান বলেন-
আওয়ামীলীগ নাম নিয়ে যেখানেই দাঁড়াবে সেখানেই গণপিটুনি খাবে। এই খুনীর দোসরদের স্থান আর বাংলার মাটিতে হবে না। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটেরাদের যেখানে পাবেন সেখানেই প্রতিহত করে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে।
নাসের রহমান বলেন, মৌলভীবাজার জেলা শান্তিপূর্ণ জেলা। এখানে জ্বালাও পুড়াও নেই। হানা হানি নেই। এ জেলায় যাতে কোন দুষ্কৃতকারীরা আমাদের হিন্দু ভাইদের উপসনালয়ে, বাসা-বাড়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোন হামলা চালাতে না পারে সেজন্য আমাদের দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা সজাগ থাকতে হবে। আমাদের স্বার্থে।
কারণ এই পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ছেলে এখন মানসিক বিকারগ্রস্থ। সে তার হাতে টাক্কু লিখেছে কিস মি আমাকে চুমা খাও। নাসের বলেন,তুমি আসো আমরা প্রস্তুত আছি তোমারে চুমা খাওয়ার জন্য। এ ওটিস্টিক নাকি নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে বলে। নির্বাচনের এতো শখ থাকলে আগে দেশে আসো।
নাসের বলেন- সারাদেশে আওয়ামী লীগের কোন চেয়ারম্যান আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে যোগ দেয়নি অথচ মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগের ভুয়া চেয়ারম্যানরা এসব সভায় যোগ দিয়েছে। যা আমাদের জন্য বিব্রতকর।
আর এদেরকে যেসব বিএনপির নেতারা যারা শেল্টার দিচ্ছে তাদের চিহ্নিত করতে এবং তাকে জানাতে দলীয় নেতাকর্মীদের দায়িত্ব দেন। এসময় দলীয় নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের দালাল রা হুঁশিয়ার সাবধান বলে নানা স্লোগানে সমাবেশস্তল কাঁপিয়ে তুলেন।
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা কর্তৃক ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা এবং খুনি হাসিনা সহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে বুধবার(১৪ই আগস্ট)বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে মৌলভীবাজার পৌরসভা চত্বরে অবস্থান কর্সুচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, সহসভাপতি আশিক মোসাররফ,মো.হেলু মিয়া,জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলামসহ সদর থানা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অবস্থান কর্মসুচী শেষে জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য এম নাসের রহমানের নেতৃত্বে জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বিশাল এক মিছিলের মাধ্যমে খুনী হাসিনা ও তার পালিয়ে যাওয়া দোসরদের দেশে ফিরিয়ে এনে রাস্ট্রীয় সম্পদ লুটেরাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী জানানো হয়।