(প্রতিনিধি -মোহাম্মদ শহিদ)
নোয়াখালী কবির হাট উপজেলায় গত পাঁচ দিনে মাঝারি ভারি বৃষ্টি পাতে কবির হাট পৌরসভা ও ৭ টি ইউনিয়নে প্রায় এক লক্ষ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। গ্রামীণ রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ ।
পানির নিচে তলিয়ে গেছে কৃষিজমির ফসল ভেসে গেছে মাছের খামার ও প্রায় তিন শত উপরে পুকুর,মাছ চাষীদের হয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, ভারি বৃষ্টি কারণে কর্মহীন পড়েছে এই উপজেলার বহু মানুষ।
উপজেলার বিভিন্ন মানুষের কাছে জানা যায় ধানশালিক ইউনিয়ন জনতা বাজার থেকে
চর মন্ডলীয়া বাজারে যাতায়াতের জন্য নোয়াখালী খালের মধ্যে বাঁধ নির্মাণ করায় খালে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায় , বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলাবাসী,
এই বাঁধ টি কেটে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। এবং তারা আরো বলেন গত পাঁচ থেকে ছয় দিন আমরা পানি বন্দি হয়ে আছি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা উপজেলা প্রশাসন পানি নামার কোন ব্যবস্থা করেনি ।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে পাওয়া যাচ্ছে না জনপ্রতিনিধিদের
এই বিষয় জানতে চাইলে বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু বলেন কবির হাট উপজেলার বিভিন্ন জাগয়া খালের উপর বাঁধ নির্মাণ করায় পানি নামতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে
আমি আমার নেতা কর্মীদের নিয়ে দ্রুত পানি নামার জন্য খালের মুখে বাঁধ গুলো কেটে দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, কোম্পানিগঞ্জের কোন এক নেতার মাছের প্রজেক্ট থাকার কারণে খালের উপর ওই বাঁধ কেটে নি ,
আমরা পাইপ দিয়েছি পানি নামার জন্য,
যদি তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় আমরা পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এই বিষয় জানতে চাইলে কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন, বাঁধের মুখে পাইপ দিয়েছে পানি নামতেছে, তবে বাঁধ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বাঁধ কাটার বিষয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি হয় বলে জানার তিনি।