রুহুল আমিন,ডিমলা(নীলফামারী)
ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে তীব্র স্রোতে নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পানি বাড়ার পাশাপাশি ভাঙ্গন আতঙ্ক বিরাজ করছে নদীপারের মানুষদের মাঝে।
রবিবার(১১ আগষ্ট)সরেজমিনে দেখা যায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী বাইশপুকুর গ্রামে পানি বন্দী হয়ে ভাঙ্গনের কবলে পরে একদিকে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি ও অন্যদিকে আতংকে রয়েছেন নদীর ধারে বসবাসকারীরা।
ঝুঁকির মুখে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদ, মন্দির ও চলাচলের তুহিন বাধ নামক একটি রাস্তা। পানি একটু বৃদ্ধি হলেই রাস্তা ছুঁইছুঁই হয়ে যায়। এলাকাবাসীরা বলেন,দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে আসতেছি কিন্তু কোন কাজ হয়না।এভাবে অনেক ফসলি জমি ও বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
অত্র এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সেরাজুল ইসলাম আতিয়ার রহমান, সাইদুল ইসলাম সহ আরও অনেকে বলেন, আমরা ৮-১০ দিন কাজের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে যাওয়া আসা করেছিলাম ,শুধু আশ্বাস দেয় ওরা আমাদের কোন কথা শুনেননাই। কিসের যে অলসতা তা বুঝা যায়না।শত শত একর জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।আমরা নদী পারের গরীব মানুষ, সব বাড়িঘর ভেঙ্গে যাইতেছে পরিবাবার নিয়ে কোথায় যাব। এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে স্বেচ্ছায় কাজ করতেছি।
খালিশা চাপানী ইউপি চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান সরকার বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বারবার বলার পরেও পদক্ষেপ না নেওয়ায় শতশত বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখানে তাদের যথেষ্ট অলসতা রয়েছে। ভাঙ্গনরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা বলেন, যেভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি হচ্ছে তাতে ভাঙ্গনের প্রবনতা বেড়ে যাওয়ায় ফসলি জমিসহ বেশ কিছু বাড়ি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙ্গনরোধে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।