শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ এলাকার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছে।
এতে অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী ও উৎসুক জনতা গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- আজাহার (৩০), ফারুক (২৬), মারুফ (১৯), ইদ্রিস (৩০), রিয়াজ (২৪), স্বপন (৩৫), বাবুল (২১), জাকির (৫২), শামীম (৩০), রায়হানসহ (২৮) অজ্ঞাত অর্ধ শতাধিক।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহ বিভাগে নিয়োজিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের(বিজিবি) সদস্য কয়েকটি বাসে করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ধরে ঢাকায় যাচ্ছিল। আন্দোলনকারী ছাত্র ও জনতা দুটি বাসে থাকা প্রায় ৮০ বিজিবি সদস্যদের মুলাইদ এলাকার আটকে দেয়। এ সময় আন্দোলনকারী ছাত্র ও জনতা তাদের ভারতীয় পুলিশ বা বিএসএফ সদস্য ও তারা হিন্দি কথা বলে প্রচার করে। একপর্যায়ে বিজিবি সদস্যের কাছে থাকা কিছু অস্ত্রসহ গোলাবারুদ আন্দোলনকারী ছাত্র ও জনতা বস্তায় ভরে তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর আন্দোলনকারী ছাত্র ও জনতা বিজিবি সদস্যদের উপর চড়াও হয়। এসময় বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি করে। দুপুর থেকে কয়েক ধাপে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় ৬ আন্দোলনকারী নিহত ও অর্ধশতাধিক গুলিবিদ্ধ হয়।
অবরুদ্ধ থাকার খবর পেয়ে আশপাশের ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেনাবাহিনীর কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিজিবি সদস্যদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে। তারা আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। বিজিবি সদস্যের উদ্ধারে বিকেলে কয়েকটি হেলিকপ্টারও আকাশে চক্কর দেয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশপাশের পরিবেশ থমথমে অবস্থায় রয়েছে।
মাওনা চৌরাস্তার আলহেরা মেডিকেল সেন্টারের ব্যবস্থাপক মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, এ পর্যন্ত হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত অবস্থায় পাঁচজনের মরদেহ এসেছে। তাদের মধ্যে তিনজনের নাম পরিচয় জানা গেছে। এছাড়াও অপর দুজনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। একজনের মরদেহ উপজেলা মাওনা এলাকায় তার আত্মীয় বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ২২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুপুরের পর থেকে গুলিবিদ্ধ ২২ জনসহ মোট ৫০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জারিন ফারা বলেন, বিকেলের দিকে ৪ ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছে।