আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর সরাসরি গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। রোববার (৪ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মাসুদ হোসেনের বেঞ্চ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন
আন্দোলনের সময় সরাসরি গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। পরে পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেন, সব নাগরিকের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণের অধিকার আছে। পুলিশকে আইনের নির্দেশনা মানতে হবে বলেও উল্লেখ করেন হাইকোর্ট।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ৯ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় করা রিট শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। রোববার (৪ আগস্ট) সকালে রিটটি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়।
জ্যেষ্ঠ্য বিচারপতি বলেন, রাজনৈতিক ইস্যু রাজপথে সমাধান হওয়ার উচিত। এরপর শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশের সরাসরি গুলি বন্ধে রিটের শুনানি।
শুরুতেই অ্যার্টনি জেনারেল বলেন, রিট করার নেপথ্যে অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। কেননা তারা দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দিতে চায়। পুলিশকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হলেও, রিটকারীরা কোন নিন্দা জানায়নি। এসময় রিটকারীর আইনজীবীরা জানান, তারা সব মৃত্যুর নিন্দা জানিয়েছেন। এ সময়, আওয়ামী লীগের সমর্থিত আইনজীবীরা শুরু করেন হৈচৈ। সেসময়, অ্যার্টনি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের লোক শপথ নেয়ার পর আর দলের থাকে না।