মনিরুজ্জামান খান, ২০২৪ সালে গাইবান্ধা জেলায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৯২ টি, জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত এই রিপোর্টি তৈরি করা হয়। গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায়,হাসপাতালের রেকর্ড ফাইল অনুযায়ী জানিয়াছেন সদর হাসপাতালের অফিস সহকারী মাসুদার রহমান,তবে ওয়ানষ্টফ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি)সেন্টারের তথ্যনুযায়ী এ জেলায় নারী শিশুসহ নির্যাতিতা ১২০টি ভিকটিম তাদের কাছ থেকে সেবা গ্রহন করেছেনও একজন ধর্ষিতাকে আইনি পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিসের কর্মকর্তা ।
গাইবান্ধায় বিদায়ী বছরে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ১৬৫ জন নারী শিশু ধর্ষনের শিকার হয়েছেন, এছাড়াও ২০২২ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী ২৬৭ জন নারী শিশু ধর্ষনের শিকার হয়েছেন গত ৩ বছরের জেলা সদর হাসপাতালের রেকর্ড ফাইল অনুযায়ী এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তবে গত কয়েক বছর ধরে উদ্বেগজনক হারে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধিসহ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হলেও এবছরে কম হয়েছে বলে জানান তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা।
এদিকে,গাইবান্ধা জেলা জর্জ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড.তাছনিম বেগম (মিলা) বলেন বেশির ভাগ মামলা আসছে উঠতি বয়সের মেয়েদের। তাদের একটাই কারণ অল্প বয়সেই অবাধে মোবাইল ফোনের ব্যবহার প্রেমের সমপর্ক অধিক হারে হওয়ার কারণে একপর্যায়ে তারা অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত হয়।,পরকিয়া সমপর্ক। শেষ পর্যায়ে বনিবনা না থাকায় অল্প সময়েই দুজনের মধ্যে ডিভোর্সও মামলা মোকদ্দমায় জড়ায়। এছাড়াও প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধষর্ণসহ,স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চললে একপর্যায়ে পরকীয়া জড়িয়ে পড়ে এরপর ডিভোর্সের ঘটনা ঘটছে বলেও উল্লেখ করেন।
দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ঘটনাবহ ধষর্ণ, অন্যদিকে ধর্ষনের শিকার হওয়া পরিবারটি সারা জিবনের জন্য পারিবারিক ভাবে মুখলজ্জায় পরে যায়, এতে করে মেয়েটির জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার, আবার কোন সময় ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটি আত্মহত্যার পথ বেচে নেয়।
আবার কিছু পরিবার গরিব হওয়ায় যা প্রভাবশালীর খপ্পরে পরে ভিন্নখাতে রুপ নেয় যা কিছু টাকার বিনিময়ে মিমাংসাও হয়ে যায়। এছাড়াও শালিশ বৈঠক করে অনেকে মিমাংসা করে নেয় মুখো লজ্জায় । এতে করে ওই ধর্ষণকারী আরো ভয়ংকর হয়ে যায়। আবার যথাযথ প্রমান না থাকায় আইনের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যায় ধর্ষণকারী।
এবিষয়ে রাইট টু লাইফ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক খান মোঃ রোস্তম আলী বলেন, মানুষের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন নিশ্চিত করলে তা অনেকটা কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব বলে মনে করেন।
অন্যদিকে মানবাধিকার কর্মী একেএম সালাউদ্দিন কাসেম মনে করেন আইনের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হওয়া মেয়েটির পূর্নবাসনসহ এর মানুষিক ভাবে বেড়ে উঠা ও তার বিনা খরচে আইনি সহায়তা প্রয়োজন বলেও মনে করেন।
এতে করে আইনের মাধ্যমে ওই বখাটের শাস্তি যেমন নিশ্চিত হবে তেমনি শারিরিক নির্যাতনের শিকারও কম হবে বলে জানান।