আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার বিতর্কিত ওসি সোহেল আহম্মেদের বিদায় হলো। তিনি গত বছর আনোয়ারা থানায় যোগদানের পর থেকে আনোয়ারা উপজেলা মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। বেড়েছে খুন, প্রতিনিয়ত চুরি, ডাকাতি, জুয়াসহ সকল অপরাধের পুনরাবৃত্তি। তার সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন জায়গা হতে মাসোহারা নিতে কাজ করতেন ওসি মহিউদ্দিন (তদন্ত) ও বন্দর রাঙ্গাদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এস আই সোলায়মান। সোহেল আহম্মেদ গত বছরের জুলাই মাসে যোগদানের পর থেকে আনোয়ারা থানা ও বন্দর পুলিশ ফাঁড়িকে বানিয়েছেন শালিসি বাজার। প্রতিদিন শালিসের নামে বৈঠক বসিয়ে হাতিয়ে নিতো সেবা প্রার্থীদের কাজ থেকে হাজার হাজার টাকা। এই শালিসি বৈঠক ও বিভিন্ন অপরাধমূলক জায়গা হতে মাসোহারা নিয়ে একই কর্মস্থলে দীর্ঘ দিন থেকে আঙ্গুল ফুলে কলা কাজ হয়ে গেছেন বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মোহাম্মদ সোলায়মান। কিছুদিন আগে এসআই সোলায়মানের যোগসাজশে পারকী এলাকা হতে একশ নব্বই বোতল বিদেশী মদ আটক করলেও ওসি ও এসআই সোলায়মান মূল হোতাদের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়ে শুধুমাত্র গাড়ীর ড্রাইভারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বৈরাগ গ্রামে বিভিন্ন জুয়া থেকে মাসোহারা নেন এসআই সোলায়মান। তার বিরুদ্ধে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাররে লিখিত অভিযোগ ও দিয়েছে একাধিক ভুক্তভোগীরা। ওসি সোহেল আহম্মেদ বিভিন্ন নিরাপরাধ ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে জামাত বিএনপি ট্যাগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ওসি সোহেল আহম্মেদের আমলে ভূমিদূস্যরা ছিল খুবই বেপরোয়া। তিনি বিভিন্ন সময় অভিযোগ নিয়ে আসামীদের থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আসামীদের সুযোগ দিতো অবাধে। আনোয়ারার সচেতন মহলের দাবি ওসি সোহেল আহম্মেদ বিদায় হলেও ওসি তদন্ত মহিউদ্দিন ও বন্দর রাঙ্গাদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সোলায়মানের বিদায় যেন দ্রুত সময়ে হয়। তাদের ছত্রছায়ায় চলে নানান ধরণের অপকর্ম। বর্তমানে আনোয়ারা থানার নতুন ওসি হিসেবে যোগদান করেছেন মোল্লা জাকির হোসেন। তিনি গাজীপুর জেলায় এতোদিন কর্মরত ছিলেন। আর বিতর্কিত ওসি সোহেল আহম্মেদকে খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়।