বকশীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ রাহিন হোসেন রায়হান
জামালপুরের বকশীগঞ্জে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে মারপিট অতঃপর থানায় অভিযোগ।
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মোঃ সানোয়ার হোসেন ওরফে খুশু (৩৫) ও তার পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে।
খুশু কে বেধড়ক মারপিট করার সময় তার বোন মোছাঃ রুপনা বেগম (২৮) তাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসলে তাকেও বেধড়ক মারপিট করে হামলাকারীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের উঠানোপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় সাত জনের নাম উল্লেখ্য আসামী করে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী মোঃ সানোয়ার হোসেন ওরফে খুশু (৩৫)।
পরবর্তীতে গুরুতর আহত হওয়ায় তারা বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। আসামীরা হলেন, আমরুল ইসলাম (৫০) পিতা-মৃত গণি বেপারী। আঃ মান্নান (৫০) পিতা-অজ্ঞাত। জুয়েল (৩০) পিতা-মৃত আঃ রশিদ। মোঃ রহিচ মিয়া (২১) পিতা-মৃত আঃ হামিদ।
মোঃ হুমায়ুন কবির(৩২)পিতা-আঃ হামিদ। রাশেদ মিয়া (২১) পিতা-আমরুল। মোঃ উমর ফারুক (৩০) পিতা-আঃ হামিদ। শফিকুল ইসলাম (২৮) পিতা-আঃ হামিদ। মোছাঃ আনুরা বেগম (৪০) স্বামী-আমরুল। সর্ব সাং-উঠানোপাড়া গ্রাম বগাচর ইউনিয়ন বকশীগঞ্জ থানা জামালপুর জেলা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসামীদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জায়গা জমি ও টাকা নিয়ে শত্রুতা চলছিলো, তারা বাদীর বসত ভিটায় পুকুর খনন করে, তারা বাদীর নিকট থেকে টাকা পায় বলে বিভিন্নভাবে মিথ্যা কথাবার্তা বলে চাপ প্রয়োগ করে বাড়ির পালিত গরু নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং তার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
এসব শত্রুতার এক পর্যায়ে গত (১৯ জুলাই) তারিখ সকালের দিকে বিবাদীগণ বিচার সালিশের ব্যবস্থা করেন, উক্ত সালিশে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিবাদীগণ শালিশ অমান্য করেন এবং বাদির নিকট থেকে টাকা দাবি করে লাঠিসোটা নিয়ে খুশুর বসত বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও তার ওপর হামলা করে মারধরের এক পর্যায় খুশুর মা ও বোন এগিয়ে আসলে তাদের কেউ মারধর করেছেন।
পরে তাদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে বিবাদীগন তাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ বিষয়ে অভিযোগ কারী খুশু শনিবার (২৭ জুলাই ) বলেন, বিবাদী গন অনেক ক্ষমতাধর ও খারাপ প্রকৃতির লোক, তারা যে কোনো সময় আমার এবং আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে,পরিশেষে তিনি ন্যায় বিচারের দাবি জানান প্রশাসনের নিকট। এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আহাদ খান বলেন,তদন্ত চলছে,তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।