নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শিলং তীর’এখন নগরবাসীর গলার কাঁটা। ভিনদেশি এ লটারির খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষ। দিনের রোজগার রাতে গিলে নিচ্ছে তীর সিন্ডিকেটরা। এখন শুধু চিহ্নিত তেররতন,উপশহর এলাকায়ই নয়, সিলেটের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ছড়িয়ে পড়ছে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিলেটে এ পর্যন্ত কম হলেও শিলং তীর ও মাদকের বিরুদ্ধে শতাধিক অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু সিন্ডিকেটের মূল শেকড় তোলা সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত অভিযানের পাশাপাশি শিলং তীর ও মাদক সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কাজে ব্যস্ত রয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
সিলেট পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুধু সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমেই শিলং তীর সিন্ডিকেটদের থামানো সম্ভব।
প্রায় সময় সিন্ডিকেটরা ধরা পড়লেও তথ্য-প্রমাণের অভাবে তাদের আটকে রাখাও সম্ভব হয় না। শিলং তীর। বিশেষ করে এজেন্ট তৈরির মাধ্যমে সিলেট নগরীতে ওই খেলা শুরু হয়।
সিলেটে এ নিয়ে হুলস্থূল পড়ে যায়। রাতারাতি টাকাওয়ালা বনে যাওয়ার আশায় সিলেটে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েন শিলং তীর খেলায়। সিলেট পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিলেটে শিলং তীর সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযান চালায়।
স্কুল পড়ুয়া ছেলেরা ক্লাস ফাকি দিয়ে বাসা থেকে টাকা নিয়ে অংশ নিচ্ছে ভারতীয় এ জুয়ায়। এতে করে ছাত্রদের মনযোগ বইয়ের পরিবর্তে তীর খেলার দিকেই বেশী ঝুঁকছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেও দমন করা যাচ্ছে না এ জুয়া। পুলিশ ধাওয়া করার পর-পরই আবার এ খেলায় জড়িয়ে পড়ছে জুয়াড়িরা। কারণ গ্রামের ভাষায় একটি প্রবাদ আছে ‘চুর কখনও ধর্মের কথা শুনেনা’। আর এসবের মূলহোতা” হিমু ” তিনিই শিলং তীর জোয়ার এজেন্টদের অর্থের জোগান দিয়ে থাকেন।
স্থানীয়দের মাঝে তীর সম্রাট হিসেবে খ্যাত হিমু এখন সিলেটে তীরের প্রধান এজেন্ট। রাতদিন তীর খেলা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে সে। সহপাঠিদের নিয়ে নগরের অলি-গলিতে ছড়িয়ে দিচ্ছে এ জুয়া। হিমু নিজেকে আড়ালে রেখে স্থানীয় প্রভাবশালী,ও প্রশাসনের অসাধু ব্যক্তিদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে সমাজ ধ্বংসকারী এ জুয়া খেলা।
এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডের তেররতন এলাকায় তীর ও মাদক সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ।
তারা ইতিমধ্যে সোমবার (২০ মে) ২০২৪,সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র,সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, র্যাব-৯, মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ, এসএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) ও শাহপরাণ (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী।
তাছাড়া এলাকাবাসী জানান,আমাদের দেখা মতে ‘শিলং তীর’র অভিশাপে অনেককে ভিটে-বাড়ি পর্যন্তও বিক্রি করতে হচ্ছে। লোভে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে দিনমজুর, গরিব আর সাধারণ মানুষ ও রিক্সা চালক ।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণে অবিলম্বে চরম ঘৃণিত এবং অভিশপ্ত এই ‘শিলং তীর জুয়া’র স্থানীয় এজেন্ট ও মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে জানতে হিমুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি এসবে জড়িত নই।এসব ভূয়া আপনারা আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version