এম এ হাসান, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা থেকে উঠে আসা বর্তমানে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রাইসুল, শুধু রাজনীতি নয়, সমাজের যেকোন প্রতিকুল পরিস্থিতিতে সহযোগিতার হাত নিয়ে সাধ্যমত এগিয়ে আসতে কখনো কার্পুন্যতা করেন না। সমাজসেবা তথা বিশেষ করে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় যেন তার একমাত্র নেশা।
তাইতো, রাইসুল ইসলাম এর ছাত্র রাজনীতির প্রারম্ভে, দিনাজপুর গভঃ কমার্শিয়াল কলেজে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ২০০৩-২০০৫ সাল পর্যন্ত সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও নেতাকর্মীদের মনে জায়গা করে নেওয়ার পাশাপাশি দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের নজর কারেন।
যার ফলশ্রুতিতে, (২০০৪ -২০১১) সালের দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব অর্পন করেন তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
জেলা ছাত্রলীগ ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বে থাকাকালীন দলীয় ও রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি রাজপথের আন্দোলন – সংগ্রামে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা রাইসুল।
সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রাইসুল ইসলাম দিনাজপুর গভঃ কমার্শিয়াল কলেজের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন দলীয় বা সাংগঠনিক কাজের পাশাপাশি সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সুবিধা অসুবিধায় বা যেকোনো বিপদে সাধ্যমত সহযোগিতা করার মানসিকতা ছিল যথেষ্ট।
এজন্যই, গরীব মেধাবী ছাত্রছাত্রীদেরকে সাধ্যমতো আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি পড়াশোনার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সহযোগীতা করেছিলেন তিনি।
এই দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ছাত্র সংগঠনে জড়িত থেকে সাংগঠনিক ও দলীয় রাজনৈতিক কর্মকান্ডে বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় রাজপথে অগ্রনী ভুমিকা রাখার পাশাপাশি ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে বিশেষ কর্মদক্ষতার প্রমান দেন তিনি।
যার পূরষ্কারস্বরুপ ২০১২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দিনাজপুর শহর শাখার যুগ্ন- আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ রাইসুল ইসলাম। বিগত ২০১২ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সফল ও নিরলসভাবে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন তিনি।
সকল প্রকার সাংগঠনিক ও দলীয় কার্যক্রম বা কর্মসূচি সফল করা সহ যেকোনো দলীয় বা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা সঠিক সময়ে সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে নেতাকর্মীদেকে নিয়ে দিন-রাত পরিশ্রম করেন তিনি।
সাবেক ছাত্রনেতা রাইসুল ইসলাম একজন দূরদর্শী পরিশ্রমী ও পরোপকারী ছাত্রনেতা হওয়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের অত্যান্ত আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন যেমন, তেমনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও অংগসহযোগী সংগঠনের জেলা-কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে সক্ষম হয়েছেন।
যার ফলস্বরূপ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাইসুল ইসলামকে ২০১৮ সালের দিনাজপুর জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ থেকে জেলা সেচ্ছাসেবকলীগ যেখানেই দায়িত্বপ্রাপ্ত হোক না কেন, সাংগঠনিকভাবে সাধারণ নেতাকর্মী সহ নিজ এলাকার মানুষের কাছে অত্যান্ত প্রিয় মুখ হিসাবে বিশদ পরিচিতি পেয়েছেন রাইসুল ইসলাম।
কারন, রাজনীতির পাশাপাশি সমাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে একটুও পিছ্পা হননি সাবেক ছাত্রনেতা রাইসুল। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবার আগে সাধ্যমত সহযোগিতার হাত নিয়ে এলাকার জনসাধারণের নিকটে এগিয়ে আসেন তিনি।
বিগত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণকে সাধ্যমত সহযোগিতা করা সহ করোনা মহামারীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোভিট আক্রান্ত রোগী ও তাদের পরিবারকে খাবার-দাবার পৌছানো সহ সকল প্রকার সহযোগিতা করার নিরলস চেষ্টা করেছেন সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রাইসুল।
শুধু তাই নয়, যেকোন সামাজিক প্রতিকুলতায় বিপদগ্রস্তদের দিকে এগিয়ে আাসার পাশাপাশি যেকোনো সমাজসেবামূলক কাজে সাধ্যমত অংশগ্রহন করার চেষ্টা করেন তিনি। তার কার্যক্রম দেখেই মনে হবে, রাজনীতি আর সমাজসেবাই যেন তার একমাত্র নেশা।
সাবেক ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রাইসুল ইসলাম শুধু নেতা বা সমাজসেবক নন, জীবন জীবিকার তাগিদে একজন সাধারণ ব্যবসায়িও বটে। দিনাজপুরের এম আঃ রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে একটি ঔষধ ফার্মেসীর ব্যবসা রয়েছে এবং পাশাপাশি ছোট খাটো ঠিকাদারী ব্যবসায় তাঁর আয় ইনকামের মূল উৎস।
ঔষধের দোকান ও সাধারণ ব্যবসা থেকে অর্জিত ইনকামের সিংহভাগই দলীয় অসচ্ছল নেতাকর্মীদেরকে সহযোগীতা করার পাশাপাশি সমাজসেবাতেই ব্যয় করে ফেলেন তিনি। তাইতো, অন্যান্ন নেতাদের মতো সম্পদশালী না হলেও, রয়েছে দলীয় নেতাকর্মীদের অজস্র ভালবাসা।
দিনাজপুর জেলার বেশীর ভাগ তৃনমুল নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা যে আগামীতে দিনাজপুর জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটিতে একটা সম্মানজনক পদে বহাল রাখবেন সেচ্ছাসেবকলীগ এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। কারন, সাবেক সফল ছাত্রনেতা ও বর্তমানে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রাইসুল ইসলাম এর মত একজন পরিক্ষীত ত্যাগী কর্মীবান্ধব ব্যক্তি আগামীতে পূর্নাঙ্গ কমিটির নেতৃত্বে আসলে, দিনাজপুর জেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সাংগঠনিকভাবে আরো সুবিস্তরভাবে মজবুত ও সক্রিয় হবে বলে শতভাগ আশাবাদী ও দৃঢ বিস্বাস রাখেন দিনাজপুর জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের তৃনমুল স্তরের নেতাকর্মীরা।