বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার ও এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও জনসমাবেশ করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লিপুজ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে মেইন গেটে শেষ হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘কে বলেছে কে বলেছে, সরকার , সরকার ‘, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা”, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাংলাদেশ কারোর বাপের না’, ‘দালালি না রাজ পথ, রাজ পথ রাজ পথ’, ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার ও সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে নূন্যতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করার দাবি জানান।
আন্দোলনে কৃষি বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো: জসিম বলেন,” অবিলম্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে শব্দ উচ্চারণ করেছেন তা প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া অতি দ্রুত আমাদের এক দফা, কোটা সংষ্কার মেনে নেওয়ার অনুরোধ করছি। ”
প্রসঙ্গত, রবিবার (১৪ জুলাই) বিকালে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সম্প্রতি চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রসঙ্গেক্রমে কোটা সংস্কার আন্দোলনও উঠে আসে। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরাও পাবে না? তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে? আমার প্রশ্ন দেশবাসীর কাছে। তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে, মুক্তিযোদ্ধারা পাবে না?’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ‘অবমাননা করা হয়েছে’ দাবি করে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসেন।