দেওয়ান রানা, মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ

নেত্রকোনার কেন্দুয়া সীমানায় পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয় আ: হালিম নামে এক যুবক।

রোববার সকালে তিনদিন পর মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের চন্দ্রতলার পশ্চিমপাশে কৈজানি নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। হালিম মিয়া কেন্দুয়া উপজেলার ডাউকি গ্রামের আ: হামিদ মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, তাম্বুলিপাড়া এলাকায় বর্নি নদীতে ট্রলার নৌকায় জুয়ার বোর্ড বসিয়ে কমপক্ষে পঞ্চাশজন লোক জুয়া খেলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ওই জুয়া বোর্ডে হানা দেয়। এ সময় ৯ জুয়ারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকিরা পালিয়ে যায়।

এ দিকে পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয় হালিম মিয়া। এর পর থেকেই হালিম মিয়া নিখোঁজ ছিল। হালিম মিয়ার নিখোঁজের সংবাদ শুনে শুক্রবার বিকাল থেকে পুলিশ, ময়মনসিংহ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল ও হালিমের স্বজনরা তার খোঁজা শুরু করে।

শুক্রবার ও শনিবার খোঁজাখুজির পর কোথাও তাকে পাওয়া যায় নি। রোববার সকালে এক জেলের মাধ্যমে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

পুলিশ ভাসমান অবস্থায় মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের চন্দ্রতলার পশ্চিমপাশে কৈজানি নদীতে তার লাশ উদ্ধার করে মদন থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে হালিমের ভাই সোহাগ রানা মদন থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।

মদন থানার ওসি তদন্ত জাহাঙ্গীর আলম জানান, শুক্রবার একটি ট্রলারে ভাসমান অবস্থায় জুয়া খেলা হচ্ছিল। এ সময় কেন্দুয়া থানা পুলিশ ট্রলারটিকে ধাওয়া করে।

এ সময় হালিম মিয়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়। রোববার তার লাশ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তার ভাই মদন থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ নেই।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version