এম এ হাসান, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার এ টি এম নূর নবীর বিরুদ্ধে নীতিমালা ভংগ করে গ্রাহকদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি, গ্রাহকদের টাকা জমা না করে দীর্ঘদিন নিজের শেয়ার ব্যবসায় ব্যবহার করা, সেচ্ছাচারিতা, লোন গ্রহিতাদের সহিত আন-অফিশিয়াল আচরণ এবং অসহায়, সহজ সরল বিশেষ করে কিছু বিপদগ্রস্ত লোন গ্রহিতা গ্রাহকদেরকে খুব কৌশলে ট্র্যাপে ফেলিয়ে সুক্ষ প্রতারণার মাধ্যমে ব্যাংকের বন্ধকী সম্পত্তি নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে সেই সম্পত্তি খুব ধূর্ততার সহিত নিজের আয়ত্তে আনা ও পরবর্তীতে সেই সম্পত্তি আবার নিজ নামে চাতুরতার সহিত অর্থাৎ কয়েকজনকে শেয়ার দেখিয়ে ক্রয় সহ বিভিন্ন পন্থায় অর্থ উপার্জন করা সহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, বদলি হওয়ার পরও উর্ধতন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে মাত্র ১ বছরের মধ্যে পূনরায় একই ব্রাঞ্চে (দিনাজপুর ব্রাঞ্চ) পোস্টিং নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

বিভিন্নভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ও আমাদের নিজস্ব অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে যে, ব্যাংক ম্যানেজার নূর নবী দিনাজপুর পৌর শহরে প্রায় সারে ৪ কোটি টাকার মূল্যমানের বহুতল ভবনের মালিক এবং শহরের এলিট শ্রেণীরদের সাথে বিশেষ করে নামকরা ঠিকাদারদের সাথে অলিখিত ব্যবসায়িক শেয়ার সহ জেলা শহরের স্থানীয় বিত্তশালী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে উঠাবসা রয়েছে। এছাড়াও, মাত্র ৪-৫ বছরের চাকুরী জীবনে কোটি টাকার সম্পদ অর্জন সহ নিজের নামে কোটি টাকার লিকুইড মানি রয়েছে বলে জানা গিয়াছে।

ম্যানেজার নূরনবী নিজের কেনা প্রায় ৩০ লক্ষাধীক টাকা মূল্যের একটি গাড়ীতে চলাফেরা করেন। অথচ, দিনাজপুর ব্রাঞ্চে যোগদানের পর অটোরিকশায় চলাফেরা করত। অল্প সময়ে সম্পদশালী হওয়ায় এবং স্থানীয় প্রভাবশালী এলিটদের সাথে সক্ষতা গড়ে তুলে ম্যানেজার নূর নবী সরকার দিনাজপুর শহরস্থ একটি নামকরা ওয়েলফেয়ার ক্লাবের শুধু সদস্যপদ নয় ঐ ক্লাবের সভাপতির পদও পেয়েছেন।

এসকল বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিতকল্পে ম্যানেজার এটিএম নূর নবী সরকারের সহিত সাক্ষাৎ করতে চাইলে কোন রকম ক্যামেরা ছাড়াই আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে রাজি হন। তবে, তার বক্তব্য ও কথপোকথন প্রমাণস্বরুপ সংরক্ষণের প্রয়োজনে আমরা একটু কৌশল অবলম্বন করে গোপন ভয়েস রেকর্ডার সহ তার সাথে সাক্ষাৎ করি।

সাক্ষাকালে, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার এটিএম নূর নবী সরকারের সহিত কথপোকথনের এক পর্যায়ে দিনাজপুর শহরস্থ বহুতল ভবনের মালিকানার বিষয়ে জানতে চাইলে, একটু রেগে গিয়ে তিনি নিজের মাসিক বেতন সহ অন্যান্ন আয় ইনকামের পরিমাণ আমাদের ধারণার বাহিরে বলে জোরগলায় জানান। শুধু তাই নয়, দিনাজপুর জেলা তথা বাংলাদেশের সরকারী – বেসরকারী কিংবা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বোচ্চ বেতনধারী চাকুরীজীবি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেন।

পরের পর্বে – ক্লাবের সভাপতির পদ, ঠিকাদার ও এলিটদের সাথে সক্ষতা, গ্রাহক হয়রানী ও চাতুরতা সহ আরো বিস্তারিত আসছে

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version