মধ্যনগর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের সরকারি রাস্তার ধারে থাকা মূল্যবান সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ব্যক্তি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামের শাহ ছমির ফকিরের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় গাছ কাটার এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ১নং উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামের শাহ ছমির ফকিরের বাড়ি সংলগ্ন কালবার্ড ব্রিজের অদূরে মহিষখোলা টু তাহিরপুর মেইন সড়কের উপর থেকে ২ টি গাছ জনসম্মুখে কেটে নিয়ে যায় স্থানীয় কদ্দুস মিয়া ও পরিবার। রাস্তা ভাঙন রোধে এ গাছগুলো গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছিল।এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো তাদেরকে হুমকি দামকি দিয়ে গায়ের জোরেই সরকারি রাস্তার উপর থাকা ২ টি গাছ জনসম্মুখে কেটে নিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা কুদরত আলি ফকির বলেন,যে খান থেকে এই গাছ গুলো কাটা হয়েছে এর আশেপাশের জায়গা জমিন আমি দীর্ঘ দিন ধরে ভোগ দখলে আছি।তিনি আরো বলেন প্রতিবেশি কুদ্দুস মিয়া ও ছেলেপেলে অনেক দিন ধরে এই জায়গা গুলো দখল নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।বাধা দিতে গেলে আমাদের প্রান নাশের হুমকি ও আমাদের মারপিট করে থাকে।আজ দুপুরের দিকে কদ্দুস মিয়া ও তার পরিবার এসে আমার জায়গার পাশে থাকা সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার খবর শুনে কিছু স্থানীয় লোকজন নিয়ে বাধা দিতে গেলে।তারা আমাদের উপর তেড়ে এসে মারধর করতে উদ্দোত্ত হয়।
আমি এদের বিচার চাই। এছাড়াও স্থানীয় অনেক লোকজন সরকারি গাছ কাটায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কুদ্দুস মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ছেলে লালচান মিয়া বলেন,এ গাছ আমিই লাগিয়ে ছিলাম।আমি আমার গাছ কাটবো কার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কাটবো।যারা গাছে সিল মেরেছে তাদের কাছে জিজ্ঞেস করে কেটেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীষ দর্শী চাকমা বলেন, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পা
ওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।