মনিরুজ্জামান খান: গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধা সদরসহ সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ৭০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
এর মধ্যে গাইবান্ধা সদরে ১৭টি, ফুলছড়িতে ২১টি, সাঘাটায় ২১টি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
অন্যদিকে,আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রয়েছে সদরে ১টি,ফুলছড়ি ০৫ টি,সাঘাটা ০১ টি, সুন্দরগঞ্জে ৮টি, বন্যায় বিদ্যালয় ভেঙে গেছে সদরে ৫টি, সাঘাটা২ টি বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জেলার চার উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।
এ অবস্থায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেউই স্কুলে আসতে পারছেন না। এমন ৭০ টি স্কুলের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যার পানি কমার সাথে সাথে এসব স্কুলে পাঠদান শুরু করা হবে।
জানা গেছে, কয়েকদিন ধরেই নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে গাইবান্ধার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার অন্তত ২০টি ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এর মধ্য স্কুল থাকায় দুর্ভোগে ছাত্র-ছাত্রীরা।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ৪ জুলাই সন্ধ্যা ৬ টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি জেলার ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫৭ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।