সোয়াইব আলী, জবি প্রতিনিধি :
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে জড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ও কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, কবি নজরুল সরকারি কলেজের মাঠে ফুটবল খেলছিলো কলেজেরই আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তখনই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ৭-৮ জন মাঠে আসে ফুটবল খেলতে। এসময় তাঁরা কলেজের শিক্ষার্থীদের দ্রুত মাঠ ছেড়ে দিতে বলে। আর তখনই দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কবি নজরুল কলেজের ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ফিব্বি নামের এক শিক্ষার্থী এসময় কথা বলতে এগিয়ে আসলে তার ওপর চওড়া হয় মো. মাসুদ রানা নামের জবি ছাত্রলীগের এক কর্মী। এরপর কবি নজরুল কলেজে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মাসুদকে মারধর করে। পরবর্তীতে মাসুদ জবির ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ফোন দিলে বেশ কয়েকজন এসে মারধর করে কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের।
এ বিষয়ে ফিব্বি বলেন, প্রথমে আমরা আমাদের মাঠে ফুটবল খেলছিলাম। এসময় জগন্নাথের ৭-৮ জন ছেলে মাঠে প্রবেশ করে। তারা আমাদের মাঠ থেকে উঠে যেতে বলে। তারা নাকি অনুমতি নিয়ে এসেছে কারও থেকে। কিন্তু তা আমরা জানি না। পরে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের অনুসারী মো. মাসুদ রানা নামের ১২ ব্যাচের একজন প্রথমে আমার ওপর চওড়া হয়। তার বাসা মাদারীপুরে। আমাদের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে সে ছাত্রলীগের আরও নেতাকর্মীদের ডাক দিয়ে এনে আমাদের মারধর করে। গতকাল রাতে আমি হলেও ছিলাম না। তারা আমাকে রাতে মারার পরিকল্পনা করেছিলো বলে জানতে পেরেছিলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১২ ব্যাচের মো. মাসুদ রানা বলেন, আমরা ফুটবল খেলতে গিয়েছিলাম, তারা খেলতে দেয়নি। পরে আমরা চলে আসছি। মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগম বলেন, এসব বিষয়ে আমি ফোনে কথা বলিনা। আপনি অফিস টাইমে আমার অফিসে আসবেন।
এ বিষয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগর বলেন, এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। ফুটবল খেলাতো, চিল্লাচিল্লি করে থাকতে পারে। তবে মারামারি, গ্যাঞ্জামের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইন বলেন, বিশ্বাস করো ওখানে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি। আমি ওখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কারও সঙ্গে কোনো মারামারি হয়নি।
এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি এই বিষয়ে অবগত ছিলাম না, আমি খোঁজ নিচ্ছি।