শনিবার, জুলাই ৬, ২০২৪

তালতলীতে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং দুর্ভোগে গ্রাম বাসী

যা যা মিস করেছেন

মোঃনাজমুল হোসেন বিজয়। তালতলী,বরগুনা প্রতিনিধিঃ

বরগুনার তালতলীতে চলছে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিন নেই রাত নেই কম করে হলেও ২৪ ঘন্টায় ১৪ থেকে ১৬ ঘন্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে প্রচন্ড গরমে শিশু বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সী লোকজন নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কোন নোটিশ ছাড়াই দিনের বেলা ৭/৮ ঘন্টা ও দিনের পাশাপাশি রাতেও সমানতালে লোডশেডিং করা হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রাখতে হচ্ছে । সন্ধ্যার পরে বিদ্যুৎ না থাকায় মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া করতে পারছে না। দক্ষিণ ঝাড়াখালী মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আসাদুজ্জামান ইউসুফ বলেন, বর্তমানে ষান্মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সন্ধার পরে বিদ্যুৎ না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক লেখাপড়া করতে পারছেন না।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ বারবার তালতলী পল্লী বিদ্যুতের অফিসে ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করছেন না। আবার দিনরাত মিলিয়ে ৮-১০ ঘণ্টা ও বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। বিদ্যুৎ না থাকায় সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে।
জানা যায়, প্রচন্ড গরমে উপজেলা জুড়ে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাসা-বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিদ্যুৎ বন্ধের জন্য অফিস থেকে শিডিউল দেয়ার নিয়ম থাকলেও তারাই মানছে না নিয়ম। দীর্ঘ বিদ্যুতের লোড শেডিং চলাকালিন সময়ে তাদের অফিসে একাধিকবার ফোন দিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলেও সেখানের কেউ ফোন রিসিভ করেনি। এমনকি সাংবাদিকদের ফোন ও রিসিভ করছেন না তারা। ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তি আরও বাড়ছে। লোডশেডিং এর কারণে বিদ্যুৎ নির্ভর কলকারখানা, কম্পিউটার ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় হুমকির মুখে পড়েছে তাদের জীবন জীবিকা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা । বিদ্যুৎ অফিসে খোজ নিয়ে লোডশেডিং এর কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন অমুক স্থানে বর্ষায় গাছ ভেঙ্গে লাইনের উপর পড়েছে, কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে কোথাও গাছ পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
তালতলী সাব জোনাল অফিসের এজিএম সুমন সাহা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সব কটি লাইন এখন চালু আছে তাই তালতলীতে কোন লোড শেডিং নেই। প্রায় প্রতিদিনই ৮/১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্ষার মুহুর্তে বিভিন্ন স্থানে গাছ পরে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবরে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করতে হয়।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security