সোয়াইব আলী, জবি প্রতিনিধি :
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলমান সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও আন্দোলন কর্মসূচি শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বৈষম্যের শিকার না হয় সেই লাভের জন্যই আন্দোলন বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতি।
সোমবার (১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে দেওয়া বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসাম এসব কথা তুলে ধরেন।
ড. শেখ মাশরিক হাসান তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে আমরা শিক্ষকরা যে আন্দোলন করছি, সেটা শুধু আমাদের আন্দোলন নয়। এটা আমাদের শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আন্দোলন। আমরা যারা ১ জুলাইয়ের আগে শিক্ষকতার চাকরিতে যোগদান করেছি তারা এই প্রত্যয় স্কিমের কারণে ভুক্তভোগী হবোনা। ১ জুলাইয়ের পর যেসব শিক্ষার্থীরা এই পেশায় আসবে তারা এই বৈষম্যের শিকার হবে। আমরা আমাদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এই আন্দোলনে নেমেছি। যাতে আমাদের সাথে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আকাশ পাতাল বৈষম্য তৈরি না হয়।
এসময় শেখ মাশরিক আরও বলেন, একটি মহল এ আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্য, শিক্ষার্থীদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছানোর জন্য গুজব ছড়াচ্ছে যে এই আন্দোলন আমাদের স্বার্থে। কিন্তু আসলে এ আন্দোলন ভবিষ্যতে যারা শিক্ষকতায় যোগদান করবে তাদের জন্য।
এদিকে আজ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি। এদিন সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনে শিক্ষক, কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে আসলেও কোনো ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া হয়নি। কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী দাপ্তরিক কাজ করেননি।