নোয়াখালী প্রতিনিধি,
আড়াই বছর আগে ওমান যেতে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন জহির উদ্দিন। ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা পাওনা টাকার জন্য চাপ দিলে জহির উদ্দিনের স্ত্রী নাসরিন আক্তার গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রপুর গ্রামের মতি মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাসরিন আক্তার দুই সন্তানের জননী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আড়াই বছর আগে জীবিকার তাগিদে নাসরিনের স্বামী বিভিন্ন এনজিও ও ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ওমান যান। কিছু দিন ধরে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা পাওনা টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল।
সেই চাপ সইতে না পেরে নাসরিন নিজের শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালে এনজিও কর্মীরা পাওনা টাকার জন্য তার বাড়িতে যান। ঘরের দরজা বন্ধ দেখে তাকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান এনজিও কর্মীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
নাসরিনের ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার বোনের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। স্বামীর নেওয়া ঋণের চাপ সইতে পেরে নিজের শাড়িতে ফাঁস নিয়েছেন তিনি। তার স্বামীর অবস্থা ভালো না। ভালো হলে আজ এই অবস্থা হতো না।
কবিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আজকে ঋণের টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। ঋণের চাপে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।