নিজস্ব প্রতিবেদক: মুসলিম এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হওয়ায় মামলায় ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের ডুমরিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগনেতা অঞ্জন হালদার (৪৮) কে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালাত। ১৬ জুন অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। অঞ্জন হালদার (৪৮) বর্তমানে বরিশাল কারাগারে রয়েছেন। অঞ্জন হালদার ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের ডুমরিয়া গ্রামের মৃত. রমনী হালদারের ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা বলে জানাগেছে। মামলার অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, বরিশাল কোতয়ালী থানার এ/পি মুন্সীর গ্যারেজ এলাকার এক নারীর সাথে আরশী সঞ্চয় ঋনদান সমবয় সমিতির নামে একটি প্রতিষ্ঠানে যৌথ ভাবে কাজ শুরু করে অঞ্জন হালদার ও এই নারী। নয় বছর পূর্বে ডিভোর্স হওয়া এই মুসলীম নারীর দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। একসাথে কাজ করার সুবাদে ওই নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে অঞ্জন হালদারের। এরই সুত্র ধরে কোতয়ালী মডেল থানার অক্সফোর্ড মিশন রোডে মো. আলতাফ কমিশনারের হাউজিং অপরাজিতা ভিলায় ভাড়া বাসায় ২০১৯ সালের ০৪ নভেম্বর সকাল ৭ টার দিকে ডেকে নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষন করে অঞ্জন। এসময় নিজে ধর্মান্তরিত হয়ে ওই নারীকে বিয়ে করবে বলে প্রলোভন দেখায়। পরে বিয়ের জন্য একাধিক বার চাপ দেওয়া হলে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করার জন্য সময় চায় অঞ্জন । ওই নারীর জন্য মুন্সীর গ্যারেজের আফসার ভবনের নীচ তলা বাসা ভাড়া করে দেয় অঞ্জন হালদার। এর পরে ওই বাসাসহ একাধিক স্থানে নিয়ে ওই নারীকে একাধিক বার ধর্ষন করে অঞ্জন । বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হলে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপন করে অঞ্জন। সবশেষ গত ১১ জুন রাত সারে আটটার দিকে মুন্সীর গ্যারেজের আফসার ভবনের নীচ তলার বাসায় বসে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই সন্তানের জননী ওই নারীকে ধর্ষন করে অঞ্জন হালদার। বিয়ে করতে অস্বীকার করায় গত ১৬ জুন অঞ্জন হালদারে বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোবন দেখিয়ে ধর্ষনের অভিযোগে বরিশালের কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন ওই নারী। ওই দিনই অঞ্জন হালদারকে বরিশালের অক্সফোর্ড মিশনের অপরাজিতা ভিলার ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করে। মামলার বাদী দুই সন্তানের জননী ওই নারী বলেন,‘ অঞ্জন হালদার টাউট প্রকৃতির লোক। সে আমার সাথে প্রতারনা করেছে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষন করে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক পিপিএম বলেন,‘ ধর্ষনের সিকার হওয়া ওই নারী থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করে তদন্তে এর সত্যতা পাওয়া গেলে অঞ্জন হালদারের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা রুজু করা হয়। এই মামলায় তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে অঞ্জন হালদার নিজেকে অনেক বড় আওয়ামী লীগনেতা হিসেবে জাহির করে এলাকার বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। বিভিন্ন লোকরে কাছ থেকে নগদ অর্থ নিয়েছে। অঞ্জন হালদারের গ্রেফতারের খবরে তারা স্বস্তির নিশ^াস ফেলেছে। পাশাপাশি তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছে ভুক্তভুগিরা।
আপনি যা যা মিস করেছেন
Add A Comment