আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা :

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় পুলিশের অভিযান ঝিমিয়ে পড়ার সুযোগে নিরাপদে খালাস হচ্ছে ইয়াবা চালান। গ্রামে গঞ্জে চলছে প্রতিনিয়ত ইয়াবা ব্যবসা। আনোয়ারা উপকূলীয় এলাকাকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গত ১২ জুন চান্দগাঁও এলাকায় র্র্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে ৭ হাজার ৮৩০ পিছ ইয়াবাসহ আলমগীর নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ২৩ লক্ষ টাকা তার বাড়ী আনোয়ারা উপজেলা চাঁপাতলী গ্রামে। শুধু তাই নই দেশের ভিতরে যত বড় বড় ইয়াবা কারবারি গ্রেতফার হয় তাদের মধ্যে কেউ না কেউ আনোয়ারার থাকে। এই ইয়াবা চালানগুলো পারকী বা গহিরা এলাকা হতে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যাচ্ছে নিরাপদে। পারকী ও গহিরা দুই এলাকায় ইয়াবা চালান খালাসে দুই জনপ্রতিনিধি ও অসাধু কিছু পুলিশ সদস্যদের লোক জড়িত বলে জনমনে শুনা যাচ্ছে। আনোয়ারায় ১১টি ইউনিয়নে প্রতিটি গ্রামে গঞ্জে ইয়াবার ছড়াছড়ি হলেও পুলিশের অভিযান চোঁখে পড়ার মতো নই। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো ইয়াবা চালান বহনকারী চুনোপুঁটি ধরা পড়লেও আসল রাঘববোয়ালরা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাদের গ্রেফতার করতে কোন সাড়াশি অভিযান চোখে পড়ে না বরং গডফাদার বা লিষ্ট ভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ওপেন চলাফেরা করতেছে। যুব সমাজ আজ মাদকে আসক্ত হয়ে ধংসের পথে। দেশের যুব সমাজকে ধংস করে ভাগ্য বদল করে চিহ্নিত এসব চোরা কারবারিরা বর্তমানে অটেল সম্পদের মালিক বনে গেছে। গ্রামে গঞ্জে শোনা যাচ্ছে অমুক নেতা, অমুক চেয়ারম্যান অটেল সম্পদের এবং গাড়ি বাড়ির মালিক। থাকেন শহরের আলিশান বাসায় তাদের উত্থান এই ইয়াবা বলে জানান সাধারণ জনগণ। অসাধু কিছু পুলিশ ও রাজনীতির পদবীধারী ও জনপ্রতিনিধি কিছু ব্যক্তিরা এই চোরাচালান ব্যবসার ভাগ পাচ্ছে বলে চাউর রয়েছে এলাকায়। এ ব্যাপারে আনোয়ারা প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি আব্দুল নুর চৌধুরী জানান, গ্রামে গঞ্জে এখন দিনে রাতে ইয়াবা সেবন ও বেচা বিক্রি হচ্ছে। এক সময় পুলিশ প্রশাসন গোপনে কিংবা প্রকাশ্য ইয়াবার বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা পালন করলেও এখন তা চোখে পড়ে না। প্রশাসনের অভিযান ঝিমিয়ে পড়ায় বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে ইয়াবা কারবারিরা। তিনি অবিলম্বে ইয়াবা, মাদক, জুয়ার বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা পালন করার দাবী জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক জানান, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে উত্থাপন করা হবে। তিনি পুলিশের আরো জোরালো ভূমিকা আশা করেন। তিনি আরো জানান, এব্যাপারে সাংবাদিক সমাজ যেন নিয়মিত সংবাদ প্রচার করে ইয়াবার বিরুদ্ধে ভূমিকা পালন করতে অনুরোধ জানান। এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ারা সার্কেল মো: সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। আগামীতে আরো জোরালো ভূমিকা পালন করবে বলে জানান তিনি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version