এ,এম স্বপন জাহান
মধ্যনগর উপজেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির কাজ না করে টাকা উত্তোলন করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের চকিয়ারচাপুর গ্রামের প্রকল্প কমিটির সভাপতি কায়সার কায়েস চৌধুরী পিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক সম্রাটের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে চকিয়ারচাপুর গ্রামের বাসিন্দা জায়েদ ইকবাল জিতু সহ পাঁচ জন গ্রাম বাসীর পক্ষে আজ ২২ জুন রবিবার ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের চকিয়াচাপুর গ্রামের চকিয়াচাপুর প্রধান সড়ক থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি কায়সার কায়েস চৌধুরী পিন্টুর বাড়ি পর্যন্ত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের সাবেক এমপির কাবিখা বরাদ্দ থেকে ১০ টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।যার প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন কায়সার কায়েস চৌধুরী পিন্টু ও সম্পাদক ছিলেন সম্রাট।অথচ গ্রাম বাসী নিজস্ব অর্থায়নে ও সেচ্ছাশ্রমে এই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ করে থাকেন। গ্রামবাসী জানতই না এই রাস্তাটির জন্য সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।জনতে পেরে তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা উল্টো সাবেক এমপিকে কামলা দিয়েছে বলে তাদের পারিশ্রমিক হিসেবে এই ১০ টন চাউল দিয়েছে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
গ্রামবাসীর দাবী আইনগত সরকারি কাজের জন্য কোন বরাদ্দ দেওয়া হলে তা ব্যক্তিগত ভাবে ভোগ করার সুযোগ না থাকায় উক্ত ১০ টন চাউলের টাকা ফেরত সহ অভিযুক্ত দুই জনকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানায়।
উন্নয়ন প্রকল্পের লাখ লাখ টাকার হরিলুটে এলাকায় চলছে সমালোচনার ঝড়। অপরদিকে সচেতন মহলের প্রশ্ন কাজ না করে বিল উঠলো কিভাবে?
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত মিন্টু ও সম্রাটের মুঠোফোনে একাধিকবার কল ও ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোন উত্তর না দেওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালেব সরকার বলেন, বরাদ্দের অর্ধেক ৫ মে.টন চাল অগ্রীম হিসেবে ছাড় দেয়া হয়েছে। কাজ দেখার জন্য সরেজমিনে গিয়ে জানতে পারি গ্রামবাসীর টাকায় রাস্তার কাজ হয়েছে। এ বিষয়ে এরই মধ্যে গ্রামবাসীরা একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।