আরিফ শেখ, রংপুর:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কর্মসূচি প্রণয়নে অংশীজনদের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণের লক্ষ্যে বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার (১৪ জুন) সৈয়দপুর শহরের ইকু হেরিটেজ রিসোর্ট সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড.এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড.এস এম যোবাইদুল করিম যুগ্ম সচিব মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই আলম সিদ্দিকী। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প পরিচালক দপ্তর প্রধান ড.মোঃ সাজেদুল করিম সরকার। আরও উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দসহ সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন সেক্টরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তামন্ডলী।
কর্মশালায় কী নোট পেপার উপস্থাপন করেছেন প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ সাজেদুল করিম সরকার। এ-সময় সরকারের বিভিন্ন অভীষ্ট ও লক্ষ্যমাত্রা যেমন-রূপকল্প-২০৪১ ও পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভিলক্ষ্য, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, নির্বাচনী ইশতেহার প্রভৃতির আলোকে সৈয়দপুরে নির্মানাধীন পোল্ট্রি গবেষণা ও রিচার্জ সেন্টারের চলমান কার্যক্রমসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এই প্রকল্পটি স্থাপনে এই এলাকার মেধাবী সন্তান প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ সাজেদুল করিম সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সেই সাথে এই এলাকার তথা বাংলাদেশসহ বিশ্বের মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর সাথে যৌথভাবে গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে পোল্ট্রি মাংস ও ডিম হতে বিভিন্ন ধরনের ফরটিফাইড এবং ভ্যালু এডেড খাদ্য তৈরিসহ রেডি টু কুক এমনকি রেডি টু ইট করা যেতে পারে। সেই বিবেচনায় গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে পোল্ট্রি প্রোডাকশন হতে শুরু করে বিভিন্ন খাদ্য পণ্য তৈরি পর্যন্ত প্রত্যেকটি ধাপ এ গুড মেনুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস অনুসরণপূর্বক স্থানীয় উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে পোল্ট্রি উৎপাদন এবং ভেলু এডিট প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর একটি প্যাকেজ তৈরি করা যেতে পারে। মার্কেটিং করতে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফাইড লোগো ব্যবহার মার্কেটিং করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, সৈয়দপুরে আঞ্চলিক পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে উত্তরবঙ্গের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণসহ প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক ভূমিকা রাখবে প্রত্যাশা এই অঞ্চলের মানুষের।