ভোলা প্রতিনিধি॥
ভোলার চরফ্যাশনে পরকিয়া ও অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বিপাকে পরেছেন তারেক রহমান নামের এক পুলিশ সদস্যসহ তার পরিবারের সদস্যরা। স্ত্রীকে দেয়া তালাকের খবর শুনে শ্বশুর বাড়ি থেকে সোনা গহনা টাকা পায়সা নিয়ে বাবার বাড়িতে পালিয়ে গিয়ে স্বামীসহ শ্বশুর পরিবারের সদস্যদের মামলা হামলার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন ওই গৃহবধুসহ তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের অব্যহত হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন স্বামী তারেক রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যরা।
ওই গৃহবধুর স্বামী তারেক রহমান অভিযোগ করেন, ২০১৯ সনে তিনি জিন্নগড় ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের নাসির ফরাজীর মেয়ে লিজা বেগমের সাথে তার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বছর খানের মধ্যে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জম্ম হয়। সন্তান জম্মের পর পরই তিনি তার কর্মস্থলে থাকার সুযোগে স্ত্রী নানান অনৈতিক কর্মকন্ডে জড়িয়ে পরেন। এতে তার বাবা- মা বাধা দিলে ক্ষিপ্ত স্ত্রী তার বাবা-মাকে একাধিক বার মরধর করেন।
পরে তিনি স্ত্রীকে তার কর্মস্থল বরিশালের নাজিরপুরে নিয়ে যান। সেখানে গিয়েও তিনি নানান পুরুষের সাথে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এনিয়ে তিনি সমাজিক ভাবে বিপাকে পরে গিয়ে ফের স্ত্রীকে তার ওমরপুর ইউনিয়নের খদেজাবাগ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন।
বাড়ি ফেরেও স্ত্রী তার অবাধ্য হয়ে তার অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যান। এতে বাবা-মা বাধা দিয়েও স্ত্রী লিজাকে ঘর মুখী করতে পারেনি। পরে তিনি উপায়আন্ত না পেয়ে গত মাসের ৩০ তারিখে স্ত্রীকে পটুয়াখালী নিকা রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক তালাক দেন। তালাক প্রাপ্তের নোটিশ পেয়ে তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী তাকে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে নানান ভাবে হয়রানির চেষ্টা করে আসছেন।
গৃহবধুর শ্বশুর জসিম উদ্দিন মেলেটারী অভিযোগ করেন, পুত্রবধুর অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য একাধিক বার সালিশ সমোঝতা হয়েছে। আমার এবং পরিবারের সদস্যদের চাপে আমার ছেলে তারেক রহমান ফের পুত্রবধুকে ঘরে তুলে আগের মতোই সংসার শুরু করেন। এবং তার সাথে পটুয়াখালীর কর্মস্থলে নিয়ে যান।
কিন্তু কোন সংশোধন হয়নি সে। ফের ছেলে তারেক রহমান পুত্রবধুকে বাড়ি নিয়ে এলে বেপোরয়া হয়ে উঠেন পুত্রবধু লিজা। শিশু সন্তানকে একা ঘরে ফেলে রেখে আমাদের অবাধ্য হয়ে নানান দিকে আসাযাওয়া শুরু করেন। আমার তাকে বাধা দিলে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং আমাকে ও আমার স্ত্রীকে একাধিকবার মারধর করেন। এভাবেই কেটে গেছে কয়েক মাস ।
গত শনিবার আমারা লোক মুখে শুনতে পাই আমার ছেলে তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে। এখবর পুত্রবধু শুনেই তিনি আমার ঘরে থাকা প্রায় ৪ ভরি গহনা ও নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে কাউকে কিছু না বলেই আমার বাড়ি থেকে পালিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। আমরা খবর নিয়ে জানতে পারি পুত্রবধু তার বাবার বাড়িতেই আছেন।
এর কয়েকদিন পর আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও দেখে জানাতে পারি পুত্রবধু চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন । তার প্রতিবেশীদের কাছে খবর নিয়ে জানতে পারি পুত্রবধুকে আমারা মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি।
সে মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমার চাকুরীজীবি ছেলে ও আমার পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে তিনি মারধরের অভিযোগ তুলে মিথ্যা মামলার পায়তারা করছেন।
গৃহবধু লিজা জানান, আমার স্বামী পরকিয়ায় জড়িয়ে একটি সন্তানসহ আমারকে বে-আইনি ভাবে তালাক দিয়েছেন বলে আমি শুনেছি। এবং আমার স্বামীর পরিবারের সদস্যারা আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন।
চরফ্যাশন থানার ওসি মু. এনামুল হক জানান, এসব বিষয়ে আমার জানা নাই। কোন অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।