বকশীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ রাহিন হোসেন রায়হান
জামালপুরের বকশীগঞ্জে অবৈধভাবে পাঁচ বছরের অধিক সময়ে পৌরসভার বৈদ্যুতিক লাইন ব্যবহার করছেন মদিনা কনফেকশনারীর মালিক লিটন । তিনি নিজ দোকানে দুটো সংযোগ লাইন স্থাপন করেছেন একটি পল্লী বিদ্যুতের আর অপরটি বকশীগঞ্জ পৌরসভার যা তিনি দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে ব্যবহার করে আসছেন।
গত ১০ই জুন (সোমবার) রাত ৮ টায় বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার মালিবাগ মোরে মদিনা কনফেকশনারি নামে এক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী লিটন তিনি অবৈধভাবে তার দোকানে পৌরসভার লাইন ব্যবহার করে আসছেন।
পৌরসভার মেয়র ফখরুজ্জামান মতিন জানান, গত ৯ই মার্চ বকশীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন হয়েছিল আমি শপথ গ্রহণ করার পর থেকে দেখি পৌরসভা কার্যালয়ে অধিক পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল আসে এতে আমার সন্দেহ হলে আমি পৌরসভার লাইন ম্যান কে খোঁজখবর করতে বলি তখন পৌরসভার লাইন ম্যান বকশীগঞ্জ পৌরসভার মালিবাগ মোড়ে মদিনা কনফেকশনারি নামে একটি দোকানে অবৈধ সংযোগ পায়।
বকশীগঞ্জ পৌরসভার লাইনম্যান পাপন আমাদের জানান, আমি দোকানে এসে লাইন চেক দেওয়ার সময় পৌরসভার বিদ্যুৎ লাইনের সুইচ বন্ধ করি এতে করে দোকানের বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ হয়ে যায়। দোকানে সকেট এর মাধ্যমে সকেট চেন্জ ওভার সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এভাবে দোকানদার লিটন দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করছেন। দেশে যেখানে বিদ্যুতের ঘাটতি মোকাবিলায় যখন হিমশিম খাচ্ছে সরকার তখনো বিদ্যুৎ চুরি ঠেকানোর বিশেষ উদ্যোগ নেই।
কিভাবে কাজটি তিনি করলেন, নেপথ্যে কারা কারা জড়িত রয়েছেন এ প্রশ্ন অধরায় থেকে যায়। এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন এর আমি উপযুক্ত বিচার চাই কে বা কারা এই অবৈধ সংযোগ স্থাপন করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক।
পরবর্তীতে মদিনা কনফেকশনারির মালিকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদেরকে বলেন, আমার এটা বৈধ সংযোগ আমার বৈধ মিটার রয়েছে।
আমার দোকানে কোন অবৈধ সংযোগ নেই।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তার দোকানের ভিতর একটি মিটারের সাথে দুইটি সকেট ব্যবহার করা হয়েছে, যা দ্বারা তিনি এতদিন যাবত অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে যোগাযোগ করলে ডিজিএম জয়প্রকাশ নন্দী বলেন, আমিও লাইনম্যান পাঠিয়ে ঘটনাটির সত্যতা পেয়েছি। আমার কোন সাহায্যের প্রয়োজন পড়লে আমি যথাযথ সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি।
পৌরসভার মেয়র ফখরুজ্জামান মতিন জানান, গত ৯ই মার্চ বকশীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন হয়েছিল আমি শপথ গ্রহণ করার পর থেকে দেখি পৌরসভা কার্যালয়ে অধিক পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল আসে।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন এর আমি উপযুক্ত বিচার চাই ।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে যোগাযোগ করলে ডিজিএম জয়প্রকাশ নন্দী বলেন, আমিও লাইনম্যান পাঠিয়ে ঘটনাটির সত্যতা পেয়েছি। আমার কোন সাহায্যের প্রয়োজন পড়লে আমি যথাযথ সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি।