জলঢাকা প্রতিনিধি:
নীলফামারীর জলঢাকায় কৈমারী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ খাঁন।সীমাহীন দূর্নীতি, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে নিজের খামখেয়ালিপনায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার অভিযোগে অভিভাবক সমাবেশ করেছে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।
সোমবার (১০ জুন) সকালে উক্ত বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরে অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ খাঁন দুলুর অপসারণের দাবী করেন সমাবেশে উপস্থিত অভিভাবক সদস্য সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে উক্ত প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য ও কৈমারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সাইদুর রহমান (মাস্টার) এর সভাপতিত্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কহিনুজ্জামান লিটন, সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রশিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বসুনিয়া, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মকসুদার রহমান লেলিন, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন সাদের, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খায়রুল আলম মোড়ল, মাহমুদ আলম দুদু সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তরা নিয়োগ বাণিজ্য করে সীমাহীন দূর্নীতি, প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে নিজের খামখেয়ালিপনায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারী অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ খাঁন দুলুর অপসারণের দাবী জানান। অভিভাবকদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার পরেও কিভাবে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে পারে, তা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এছাড়াও তিনি (অধ্যক্ষ) তিন মাসের মধ্যে একটি দিনেও বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন বলে বক্তার বলেন। উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মকসুদার রহমান লেলিন বলেন, অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ খাঁন দুলু একজন মাদক সেবনকারী ব্যক্তি। তাঁর অফিসে অনুমতি ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারে না। এ সময় বক্তারা সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, তিনি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকা শর্তেও তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এধরণের সভাপতি থাকার চেয়ে পদত্যাগ করাই ভালো।
সীমাহীন দূর্নীতির মাধ্যমে কলেজ পরিচালনা করাসহ দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকায় অধ্যক্ষের রুমে তালা লাগিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সারোয়ার হোসেন সাদের বলেন, কারো সম্মানের ক্ষতি করা ঠিক না।
সভাপতির বক্তব্যে ক্ষুন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গভর্নিং বডির সদস্য মামুনুর রশীদসহ অনেকে। অভিযোগের ব্যাপারে অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ খাঁন দুলু মুঠোফোনে বলেন, সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বক্তব্য। এবিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, এসব অভিযোগ নিয়ে কেউ আসেনি, যদি ভবিষ্যতে আসে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।