স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ
যশোর জংশন থেকে পদ্মাসেতু হয়ে চারটিসহ ঢাকায় ৫টি ট্রেন যাতায়াতের দাবিতে বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি যশোর রেলওয়ে জংশনে সমাবেশ শেষে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আজ রবিবার (২ রা জুন) সকাল ১১ টায় দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যশোর রেলওয়ে জংশনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক কৃতি খেলোয়াড় কওসার আলীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুণ অর রশিদ, শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান মজনু, যশোর কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাক হোসেন সিম্বা, সংগ্রাম কমিটির নেতা আমিনুর রহমান হিরু, ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, জিল্লুর রহমান ভিটু, ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দীপঙ্কর দাস রতন, তসলিমুর রহমান, ইলাহদাদ খান, আমিনুল ইসলাম শাহীন, শহিদুল ইসলাম লাল্টু, বিথীকা সরকার, শরিফুজ্জামান আগা খান প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বপ্নের পদ্মাসেতু রেলপ্রকল্পে যশোরবাসীর সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। এতদিন যশোর থেকে তিনটি ট্রেন চিত্রা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ঢাকায় যাতায়াত করতো।কিন্তু পদ্মাসেতু রেলপ্রকল্পের মাধ্যমে যশোরের জন্য মাত্র একটি ট্রেন রাখা হয়েছে।
খুলনা-ঢাকার ট্রেন যশোরের সীমান্তবর্তী পদ্মবিলা জংশন হয়ে ঢাকায় যাবে। পদ্মবিলায় গিয়ে যশোরবাসীর পক্ষে এই ট্রেনে যাতায়াত বাস্তবতা বিবর্জিত। পাশাপাশি কোটচাঁদপুর সাফদালপুর এবং মোবারকগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাওয়ার কোন ট্রেনই থাকছে না। এই সমস্ত সমস্যা চিহ্নিত করে রেল যোগাযোগ উন্নয়নের স্বার্থে ছয় দফা দাবি ঘোষণা করে সংগ্রাম কমিটি।
দাবিগুলো হলো, বেনাপোল থেকে ঢাকায় আরো দুটি ট্রেন দেওয়া, দর্শনা থেকে যশোর হয়ে দুটি ট্রেন ,ঢাকায় অফিস ধরার মতো সময়ে যশোর জংশন থেকে ট্রেন , ট্রেনের ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে রাখা,খুলনা থেকে যশোর ঈশ্বরদি যমুনা ব্রিজ হয়ে অন্তত একটি ট্রেন বজায় রাখা,সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা, যশোর থেকে ফুল ও তরকারিবাহী বগি যোগ করা।
দাবি উপস্থাপন করেন সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান মিলন। দাবি সম্বলিত বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, যশোর-ঢাকা ট্রেনের এই ন্যায়সঙ্গত দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়িত না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবেন।
প্রয়োজনে কাফনের কাপড় পরে রেললাইনে আত্মাহুতি দেবেন। সমাবেশ শেষে যশোর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আয়নাল হাসান ও যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আবরাউল হাছান মজুমদারের মাধ্যমে রেলমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। দু’জনেই স্মারকলিপি গ্রহণ করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
যশোর রেলওয়ে জংশনে বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি’র এই কর্মসূচিতে পাঁচ শতাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।