ইবি সংবাদদাতা:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের (১ম ব্যাচ) বিদায়ী শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার (০১ মে) সকালে মীর মোশাররফ হোসেন ভবন থেকে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। পরে বিকেলে আলোচনা সভা এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এসময় বিভাগটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শাহিদা আখতারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম তমাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা। আরো উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান। এছাড়াও এসময় বিভাগটির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিদায়ী শিক্ষার্থী জামাল উদ্দীন অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আমরাই ছিলাম বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রথম ব্যাচ। এই বিভাগে প্রথম যখন এসেছি তখন বুঝিনি আমাদের ভবিষ্যৎ কি হবে। কিন্তু সেই সময় শিক্ষকরা আমাদের পথ দেখিয়েছেন। আমাদের পথচলার সাহস যুগিয়েছেন। সেই ছোট পরিসর থেকে আস্তে আস্তে বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। আশা করি ভবিষ্যতে বিভাগ কৃতিত্বের সাথে এগিয়ে যাবে।

সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, আমরা হয়তো সুন্দর এসি রুম দিতে পারিনি, হয়তো সুন্দর ক্লাস রুম দিতে পারিনি, হয়তো সুন্দর মুট কোর্ট গ্যালারি দিতে পারিনি তবে আত্মার ভালোবাসা গুলো দিয়ে আগলে রেখেছি তোমাদের। প্রথম ব্যাচ হিসেবে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এখানে এসেছি । তারা জানে বিদ্যুৎ না থাকলে অন্ধকার পরিবেশে কিভাবে আলো ফিরিয়ে আনতে হয়। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে সবাই সম্মানিত টপ পজিশনে গিয়ে বিভাগকে সমৃদ্ধ করবে। সুখে দুঃখে অনেক কিছু সাক্ষী হবে এই ব্যাচ।

ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি এবং সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতার বলেন, প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির হিসেবে প্রথম ব্যাচের অপ্রাপ্তিই বেশি। কিন্তু শ্রোতের বিপরীতে দাড়িয়ে আজ এই শিক্ষার্থীরা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্ষেত্রেই প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা পৌছে গেছে।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন, তোমরা যেই কৃতি বিভাগে রেখেছো তা তুমি তোমার কর্মস্থলে লাগাও। প্রতিটি পদক্ষেপে প্রশংসিত হতে হবে। বিভাগ থেকে যা পেয়েছো তা নিয়ে এগিয়ে যাও।

তিনি আরও বলেন, জীবনের সকল ক্ষেত্রে ধৈর্যের সাথে স্থিরতার সাথে চলবে। হতাশ এবং ধৈর্যের হওয়া যাবে না। এই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা প্রতিটি জায়গায় আমাদের অর্জন ছাড়িয়ে গেছে। তোমাদের ভবিষ্যতের সাফল্য বিভাগের সাফল্যকে সর্বোচ্চ শিখরে এগিয়ে নিবে। তোমরা এই মূহুর্তে আমাকে ছাড়িয়ে গেছো। একজন শিক্ষক হিসেবে আনন্দ তখন লাগে যখন ছাত্র তার শিক্ষককে সফলতা ছাড়িয়ে যায়। সবসময় দোয়া করি তোমরা সকলেই সফলতা অর্জন করো।

অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা বলেন, অনেক সৃষ্টি নৈপথ্যের কাহিনি অজানা থেকে যায়। যিনি এই সৃষ্টির পেছনে থাকে তিনি আড়ালে থেকে যায়। আমার দেশের ছেলেমেয়েগুলো এতো ভালো একটা সাবজেক্ট পড়তে পারসে এতেই আমার স্বার্থকতা। এই বিভাগের সকল ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। তোমরা দেশপ্রেম নিয়ে সকলেই কাজ করবা।তোমরা দেশের উন্নয়নে সকলেই অবদান রাখবে। যেখানে জানার সুযোগ আছে সেখানে তোমরা যাবে। তোমাদের যাবার প্রাককালে তোমরা সকলকেই সাফলতা অর্জন করো এই কামনা করি।

উল্লেখ্য, বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version