মঙ্গলবার, জুন ১৮, ২০২৪

মোহনগঞ্জ প্রেসক্লাবের অর্থ আত্মসাতের দায়ে সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কার

যা যা মিস করেছেন

কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: অর্থ আত্মসাৎ, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমেদকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি পাশপাশি আত্মসাতকৃত অর্থ এক মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মাসুম আহমেদকে বহিষ্কার করা হয়। এসময় সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন এবং দৈনিক যায় যায় দিন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি তিনি।

শনিবার সকালে মোহনগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাসেম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সভাপতি আবুল কাসেম আজাদ জানান, বিভিন্ন খাত থেকে আসা প্রেসক্লাবের অনুদানের পাঁচ লাখের বেশি টাকা আত্মসাৎ করেন সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমেদ। যদিও সাধারণ সম্পাদক অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করেন। সেইসাথে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ভুয়া রেজ্যুলেশন ও গায়েবি বিল ভাউচার তৈরি করেন তিনি। পরে বিষয়টি তদন্তে ক্লাবের তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত গঠন করা হয়। তদন্তে অর্থ আত্মসাত ও ধামাচাপা দিতে ভুয়া রেজ্যুলেশন ও গায়েবি বিল ভাউচারের বিষয়টি ধরা পড়ে।

তিনি আরও জানান, তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ক্লাবের সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমেদকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ ও ক্লাবের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেইসাথে আত্মসাতকৃত পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে এক লাখ টাকা মাফ করে দেওয়া হয়। বাকি চার লাখ টাকা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রেসক্লাবের একাউন্টে জমা দিতে বলা হয়। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ দিকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানিক তালুকদার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

মানিক তালুকদার জানান, মাসুম আহমেদ নিজ সংগঠনের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম করে প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করেছেন। এ রায় সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি অনিয়মের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

বহিষ্কারের বিষয়ে মাসুম আহমেদ বলেন, যড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। বক্তব্য দেওয়ার মতো কিছু নাই। যে অডিট রিপোর্ট হয়েছে তা সত্য নয় এবং তিন বছরের খরচগুলোও ধরা হয় নাই। টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি (মাসুম) বলেন, হাউজ যেহেতু সিদ্ধান্ত দিয়েছে করার কিছু নাই। অপরাগতা থাকলেও সংগঠনের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে।

প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নরোত্তম রায় বলেন, অনিয়ম করে কেউ পার পায় না। এই রায় তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

উল্লেখ্য- অর্থ আত্মসাৎ, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গত ১৯ এপ্রিল ক্লাবের সাধারণ সভায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে ২৯ এপ্রিল তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করে। তদন্তে অর্থ আত্মসাতসহ ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ে। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী গত শুক্রবার ক্লাবের সাধারণ সভায় মাসুম আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ও প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয়।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security