বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-
১০ দিন পেরিয়ে গেলেও বিচার পায়নি আস্তে কথা বলার অনুরোধ করায় ইটের আঘাতে আহত হওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কৃষি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সঞ্জয় দাস। উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবি আজ (২৩ মে) মানববন্ধন করেছে বশেমুরবিপ্রবির কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার ( ২৩ মে) দুপুর সাড়ে ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মানববন্ধন করে কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় অনেকের মতো কেন্দ্রীয় পাঠাগারে বারান্দায় সঞ্জয় দাস পড়ছিল। সেখানে একটা ছেলে আরেকটা মেয়ে উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকায় সবার অসুবিধা হওয়ায় সঞ্জয় দাস উক্ত আপুকে আস্তে কথা বলার জন্য অনুরোধ করে এতে পাশে থাকা প্রেমিক মাসুদ মোল্লা তেরে আসে এবং গালাগালি শুরু করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মাসুদ মোল্লা সঞ্জয় দাসের উপর ইট দ্বারা আঘাত করে।
তিনি তখন জ্ঞান হারায়। পরে তার সঙ্গী সাথীরা উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে, চোখের উপরে কেটে যাওয়ায় পাঁচটি সেলাই লাগে।
সঞ্জয় দাস বলেন, ” আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমাকে কিভাবে আঘাত করা হয়েছে। আঘাত পাওয়ার পর থেকে আমি চিকিৎসার জন্য দৌড়িয়ে বেড়াচ্ছি। আমার চোখে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হয় আর দুইদিন ধরেই আমি কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম না এখন আমার চোখ ফোলা আছে, চোখ লাল হয়ে গেছে। আমার এই চোখ নিয়ে আমি তদন্ত কমিটির কাছে গিয়েছি তারা বিভিন্ন ধরনের তামাশা শুরু করে আজ না কাল বলে খালি সময় পরিবর্তন করে। তদন্ত কমিটি শুধুমাত্র আমার কথা শুনে কিন্তু আমার কোন সাক্ষীর কথা শোনে না অথচ ওই মেয়ে এবং সন্ত্রাসী মাসুদ মোল্লার কথা শুনে এক প্রকার জাস্টিফাই করেই ফেলে উভয়রই ফিফটি পারসেন্ট দোষী। শুধু তাই নয় আমাকেই অধিক দোষী সাব্যস্ত করে আমি নাকি তাদের ওখানে যেয়ে তাদের সাথে হাতাহাতি করি অথচ আমি যেখানে পড়ছিলাম আমার রক্ত এখনও সেখানেই আছে। দ্বিতীয়ত কারো কনুই এর আঘাত লেগে চোখে পাঁচটি সেলাই দেয়া লাগে তা আপনারাই বিবেচনা করুন। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই আগামী রবিবারের ভিতর যাতে ন্যায়বিচার পাই।”