আনিসুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গুচ্ছ সি ইউনিটের ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের স্তন ও জরায়ু ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনামূলক ক্যাম্পেইন করেছে ‘ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ফর উইমেইন'(ক্যাপ) কুষ্টিয়া জোন। শুক্রবার (১০ মে) ক্যাম্পাসের ডায়না চত্তর, ঝাল চত্বর, কলা ভবনের সামনে ও মুজিব মুরালের পাশে অপেক্ষারত অভিভাবকদের সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করেন সংগঠনটি।

সংগঠনটির সভাপতি রাবেয়া খাতুনের নেতৃত্বে দুইটি টিমে ভাগ হয়ে প্রায় ৯০০ জনের মাঝে এ সচেতনামুলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেন সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা।

এসময় সংগঠনটির সভাপতি রাবেয়া খাতুন বলেন, আমরা জনগণের টাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি আমাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে, সেই জায়গা থেকে আমরা এসেছি। অনেক সময় আমাদের মা-বোনদের স্তন বা জরায়ুতে সমস্যা হচ্ছে কিন্তু তারা লজ্জার কারণে বলছে না। এই লজ্জায় রোগ পুষে রাখার কারণে সে নিজেকে মরণের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। খেয়াল করে দেখবেন আমাদের পায়ে ব্যথা বা অন্য কোথাও ব্যথা পেলে সহজেই বলে দিই। কিন্তু স্তন বা জরায়ুতে সমস্যা হলে আমরা লজ্জার কারণে বলতে চাই না। শরীরের ‘ক্ষতির কারণ যদি লজ্জা হয় তাহলে আর লজ্জা নয়’। আমাদের সংগঠন সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে যাতে আর কোন মা-বোন ভয়াবহ মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত না হয়।

তিনি আরও বলেন, যেসব লক্ষণ দেখা দিলে বুঝা যাবে যে আপনি ক্যান্সার আক্রান্ত। সেসব লক্ষণ দেখা দেয়া মাত্র লজ্জা ভুলে গিয়ে পরিবারকে জানাতে হবে এবং ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে । যদি কেউ আক্রান্ত হয় এবং সে যদি প্রাথমিক স্টেজে খোঁজ পায় তাহলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ চিকিৎসা করালে সুস্থ হয়ে যাবে।

এর আগে, সংগঠনটি ‘এ’ এবং ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় সচেতনামুলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য, ক্যাপ কুষ্টিয়া জোন মা-বোনদের মধ্যে স্তন ও জরায়ুমুখ ক্যান্সার সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ পার্শবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে নিয়মিত উঠান বৈঠক করে থাকে। ক্যাপ বিশ্বাস করে প্রত্যন্ত এলাকায় মা-বোনদের মাঝে এই দুইটি ভয়াবহ ক্যান্সার সচেতনতাই পারে আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে আনতে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version